Chittagong
phone icon in white color

Call Us

Book Appointment

চট্টগ্রামে কিডনিতে পাথরের উন্নতমানের চিকিৎসা পান

সাধারণত মানুষের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলীর পরিণতি হিসেবেই কিডনিতে পাথর দেখা দেয়। এই পাথর দেহে প্রস্রাব গঠন ও তার নির্গমন পথকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলস্বরূপ দেহে বিশাক্ত বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যার চিকিৎসা করা না হলে তা অসম্ভব ব্যাথা ও মারাত্মক শারীরিক জটিলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। চট্টগ্রামে কিডনিতে পাথরের উন্নতমানের চিকিৎসা পেতে প্রিস্টিন কেয়ার-এ যোগাযোগ করুন।
প্রিস্টিন কেয়ার-এর অত্যাধুনিক ক্লিনিক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে, যেখানে রোগীরা উন্নতমানের চিকিৎসা পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ নেফ্রোলজিস্টের দ্বারা চিকিৎসার পাশাপাশি, আপনি অন্যান্য সুবিধাও পেতে পারেন যেমন প্রাক অস্ত্রোপচার ও অস্ত্রোপচার পরবর্তী পরামর্শ, নো কস্ট EMI-এর মতো সহজ পেমেন্ট বিকল্প, হাসপাতালে ভর্তি ও ডিসচার্জের নথিকরণের ক্ষেত্রে সহায়তা, বিমা জনিত সম্পূর্ণ সহায়তা, ইত্যাদি। লেজার পাইলোনিডাল সাইনাস চিকিৎসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার জন্য এখনই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Pristyn Care Chambers

  • Pristyncare Clinic image : Plot 02, Road 06, Chittagong Hwy, Halishahar Chittagong - Chittagong
    Pristyn Care - Halishahar, Chittagong
    star iconstar iconstar iconstar iconstar icon
    4/5
    Ophthalmology
    location icon
    Plot 02, Road 06, Chittagong Hwy, Halishahar - Chittagong
    hospital icon
    Thu-Sat and Sunday - 10:00 AM to 8:00 PM
  • Pristyncare Clinic image : 4th floor, Al-Noor Badrun Center, 1486, 1672,  O.R. Nizam...
    Pristyn Care - Nasirabad, Chittagong
    star iconstar iconstar iconstar iconstar icon
    4/5
    Proctology
    Urology
    Aesthetics
    +1
    location icon
    4th floor, Al-Noor Badrun Center, 1486, 1672, O.R. Nizam...
    hospital icon
    Sat -Thu 05:00 PM to 8:00 PM
  • Pristyncare Clinic image : 1160, Surson Rd, North Askar Digi,  Kotwali Chittagong -...
    Pristyn Care - Kotwali, Chittagong
    star iconstar iconstar iconstar iconstar icon
    4/5
    Proctology
    Laparoscopy
    Urology
    +2
    location icon
    1160, Surson Rd, North Askar Digi, Kotwali - Chittagong
    hospital icon
    Sat -Thu 09:00 AM to 2:00 PM and 6:00 PM to 9:00 PM
  • Pristyncare Clinic image : 35/36  Mehedibag Road Chawkbazar Chittagong - Chittagong
    Pristyn Care - Chawkbazar, Chittagong
    star iconstar iconstar iconstar iconstar icon
    4/5
    Aesthetics
    Proctology
    Laparoscopy
    +2
    location icon
    35/36 Mehedibag Road Chawkbazar - Chittagong
    hospital icon
    Sat -Thu 09:00 AM to 2:00 PM and 6:00 PM to 9:00 PM

ওভারভিউ

know-more-about-Kidney Stones-treatment-in-Chittagong
কিডনিতে পাথরের সাথে জড়িত ঝুঁকির বিষয়
  • স্থূলতা
  • কম পরিমাণে জল খাওয়া
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • অধিক পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ
  • পারিবারিক ইতিহাস
যেসব খাবার কিডনির পাথরকে দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে
  • লেবুজাতীয় ফল ও তার রস
  • ডালিম ফলের রস
  • তুলসির রস
  • কলা
  • ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা না করলে হওয়া জটিলতা
  • ব্যথা ও বমি
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত
  • সেপ্টিসেমিয়া
  • মূত্রাশয়ে ক্ষত
  • কিডনির ক্ষতি
  • কিডনির অকার্যকারিতা
কিডনিতে পাথরের উপসর্গ
  • শরীরের নিচের অংশে বা পাশের দিকে ব্যথা
  • বমি-বমি ভাব ও বমি হওয়া
  • প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি ও ব্যথা হওয়া
  • প্রস্রাব নির্গমনে সমস্যা
  • জ্বর ও সর্দি-কাশি
  • ঘোলা বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
  • ক্রমাগত প্রস্রাব অনুভব করা
function at() { [native code] }

কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যা নির্ণয় ও তার চিকিৎসা

রোগনির্ণয়

কিডনিতে পাথর বা মূত্রাশয়ে পাথরের উপস্থিতি নিম্নোক্ত পরীক্ষা ব্যবহার করে নির্ণয় করা হয়:

  • রক্ত পরীক্ষা: রক্তে ক্যালশিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক। এই পরীক্ষাগুলি কিডনির অবস্থা মূল্যায়নে সাহায্য করার পাশাপাশি কিডনিতে পাথরের কারণ নির্ধারণেও সহায়তা করে।
  • মূত্র পরীক্ষা: সাধারণত 24 ঘণ্টার মূত্র সংগ্রহ পরীক্ষা করা হয়, যাতে জানা যায় যে রোগীর মূত্রে পাথর তৈরি/প্রতিরোধী পদার্থ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রয়েছে না কম। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার ভালো নমুনা সংগ্রহের জন্য 2 দিনের মূত্র সংগ্রহের অনুরোধও করতে পারেন।
  • ইমেজিং টেস্ট: আল্ট্রাসাউন্ড ও হাই কনট্রাস্ট CT স্ক্যানের মতো ইমেজিং টেস্টগুলি কিডনিতে থাকা পাথরের সঠিক সংখ্যা ও অবস্থান জানতে সাহায্য করে, যা ইউরোলজিস্টকে সেই রোগীর চিকিৎসার সর্বোত্তম কোর্স পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
  • কিডনিতে পাথরের বিশ্লেষণ: যেসব রোগীদের মধ্যে অধিক সংখ্যায় পাথর থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ছোট পাথরগুলিকে মূত্রের সাথে বের করে দেওয়া সাধারণ ব্যাপার। আপনি এই সমস্ত পাথরগুলিকে সংগ্রহ করার জন্য একটি স্ট্রেনার ব্যবহার করতে পারেন এবং এই সমস্ত পাথরের ল্যাব বিশ্লেষণ অবস্থার ইটিওলজি নির্দেশ করতে পারে।

চিকিৎসার পদ্ধতি

পাথরের অবস্থান, সংখ্যা, তাদের ইটিওলজি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করে ডাক্তার কার্যকরভাবে পাথরগুলিকে নির্মূল করতে পারেন। কিডনিতে পাথরের ক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি হল:

  • ESWL (এক্সট্রা-কর্পোরিয়াল শক অয়েভ লিথোট্রিপ্সি): এটি একটি অস্ত্রোপচারহীন পদ্ধতি যা মূত্রনালী, অগ্ন্যাশয় এবং পিত্তনালীর কিছু অংশের পাথরগুলিকে ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। এই পদ্ধতিতে, শকওয়েভগুলিকে একটি এক্স-রে ব্যবহার করে পরিচালনা করা হয় এবং তারা পাথরের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথেই সেগুলিকে ভেঙে ফেলে, যার ফলে তারা সহজে পাস করতে পারে। কিডনি এবং ইউরেটারের পাথরের টুকরোগুলি মূত্রের সাথে বেরিয়ে যায় এবং অন্যদিকে পিত্তনালী ও অগ্ন্যাশয়ের পাথরগুলি এন্ডোস্কোপের দ্বারা অপসারিত হয়।
  • URSL (ইউরেটেরোস্কোপিক লিথোট্রিপ্সি): ইউরেটেরোস্কোপিক লেজার স্টোন ফ্র্যাগমেন্টেশন পদ্ধতিটি ইউরেটেরোস্কোপ ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়। স্কোপটি মূত্রনালী ও মূত্রথলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউরেটারে প্রবেশ করে। পাথরের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়ে গেলে তারপর শকওয়েভ বা লেজারের দ্বারা সেটিকে ভেঙে ফেলা হয়। ইউরেটার উন্মুক্ত রাখার জন্য ও এর ফুলে যাওয়া রোধ করার জন্য ইউরেটারের মধ্যে স্টেন্ট রাখতে এই স্কোপটিকে ব্যবহার করা হয়। কিডনি, পিত্তথলি বা ইউরেটারে পাথরের ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে।
  • RIRS (রেট্রোগ্রেড ইন্ট্রারেনাল সার্জারি): এই পদ্ধতিতে কিডনির পাথর অপসারণের জন্য ফাইবারঅপটিক এন্ডোস্কোপ ও লেজার ব্যবহার করে কিডনিতে কোনোরকম ক্ষত না করেই ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয়। এটি স্থানীয়, মেরুদণ্ডীয় বা সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়ার প্রদান করে করা হয়। সাধারণত লিথোট্রিপ্সি চিকিৎসা অকার্যকর হলে বা রোগীর কিডনিতে কঠোরতা বা টিউমার থাকলে এটি করা হয়।
  • PCNL (পারকিউটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটমি): এই পদ্ধতিতে দেহের পিছনদিকের ত্বক থেকে কিডনি পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করে কিডনির পাথর অপসারণ করা হয়। এটি বড় পাথরের ক্ষেত্রে করা হয় যখন কম কাটাছেঁড়ামূলক পদ্ধতি অকার্যকর প্রমাণিত হয়।

চট্টগ্রামে প্রিস্টিন কেয়ার-এ কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

কেন প্রিস্টিন কেয়ার?

বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে

01.

সারা বাংলাদেশে ৫০ + রোগের জন্য পরামর্শ পান

প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

02.

প্রযুক্তির সাথে চিকিৎসা দক্ষতা

আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।

03.

অভিজ্ঞ সার্জারি সহায়ক

একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।

04.

সার্জারির পরের যত্ন

We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)

কিডনিতে পাথর হওয়া কি একটি গুরুতর সমস্যা?

কিডনির ছোট পাথর অনেক সময় প্রস্রাবের দরুন নিজে থেকেই বেরিয়ে যায়। কিন্তু বড় পাথর আটকে থাকে যার ফলে তীব্র ব্যথা ও রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিডনির অপরিবর্তনীয় ক্ষতি ঠেকাতে দেরি না করেই উপসর্গজনিত কিডনির পাথরের চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

কিডনিতে পাথর হলে কি যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে?

হ্যাঁ। কিডনি ও মূত্রথলিতে পাথর থাকলে সেই রোগীদের মধ্যে ইরেক্টাইল ও যৌন কর্মহীনতার অধিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কিডনিতে বড় পাথর এবং ক্ষতিগ্রস্ত মূত্রাশয় সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে যৌনশক্তি হ্রাস এবং নপুংসকতা সাধারণ ব্যাপার। তবে কিডনিতে পাথর যেহেতু শুক্রাণুর উৎপত্তি বা প্রবাহকে প্রভাবিত করে না তাই উপসর্গহীন বা ছোট পাথরের ক্ষেত্রে যৌন সমস্যা দেখা দেয় না।

কিডনিতে পাথর হলে কি মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে?

যাদের মূত্রনালীতে ব্লকেজ আছে, তাদের মূত্রনালীতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কারণ কিডনিতে পাথর মূত্রের প্রবাহকে বন্ধ করে দেয় যার ফলে রক্তে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে। এছাড়া এই সম্পর্কটি উল্টেও যায়, অর্থাৎ ঘন ঘন UTI আক্রান্তদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

কিডনিতে পাথর হলে কি হজমের সমস্যা দেখা দেয়?

কিডনিতে পাথর হলে প্রায়শই গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি, পেটে অস্বস্তি ইত্যাদি। এর কারণ হল কিডনি ও GI ট্র্যাক্ট একই স্নায়ু সংযোগ শেয়ার করে, এবং একটিতে অস্বস্তির কারণে অন্যটিতেও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

কিডনির পাথর কি নিজে থেকে দ্রবীভূত হয়ে যেতে পারে?

কিডনির পাথরগুলি মূলত লবণ ও খনিজ দিয়ে তৈরি হয়, তাই ছোট বা উপসর্গহীন পাথরের ক্ষেত্রে, রোগী কিছু ওষুধ খেতে পারেন যা এই পাথরের দ্রবীভূতকরণকে ত্বরান্বিত করবে। এমনকি ছোট পাথর নিজে থেকেই কোনও ব্যথা বা অস্‌বস্তি ছাড়াই বেরিয়ে যেতে পারে।

ধূমপান বা মদ্যপানের ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে?

বিভিন্ন গবেষণা থেকে নিশ্চিতভাবে জানা গেছে যে ধূমপান ও মদ্যপান কিডনিতে পাথর তৈরির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে। তাই বেশিরভাগ চিকিৎসকই কিডনিতে পাথর থাকলে রোগীদের অবিলম্বে ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করার পরামর্শ দেন।

কিভাবে কিডনি পাথর প্রতিরোধ

নিচের পরামর্শগুলি অনুসরণ করে আপনি কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করতে পারেন:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন: আপনার মূত্রের পরিমাণ যথাযথ রাখার জন্য বেশি পরিমাণে জল পান করুন। কম পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া প্রস্রাবের ঘনীভূত হওয়ার একটি লক্ষণ যার প্রস্রাবের লবণকে দ্রবীভূত করার সম্ভাবনা কম যা থেকে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। জল ছাড়াও আপনি ইলেক্ট্রোলাইট, ফলের রস, লেমনেড ইত্যাদি খেতে পারেন।
  • ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রচলিত মতের বিপরীতে, ক্যালসিয়াম সাধারণত কিডনিতে পাথর গঠনে সাহায্য করে না। বরং, আদতে কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার অস্টিওপোরোসিসের বিকাশ ঘটিয়ে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট থেকে কিডনিতে পাথর হওয়া এড়াতে, আপনার খাবারের সাথে এটি গ্রহণ করা উচিত অথবা আপনার খাদ্যতালিকায় কম চর্বিযুক্ত দুধ, পনি বা দই ইত্যাদি যোগ করা উচিত।
  • সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা কমান: রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হলে তা প্রস্রাব থেকে রক্তে ক্যালসিয়ামের পুনর্শোষণ রোধ করে এবং এর ফলে কিডনিতে পাথর গঠন বৃদ্ধি পায়। প্রক্রিয়াজাত বা ক্যানজাত খাবার, মশলা ইত্যাদি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
  • অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন: অক্সালেট মূত্রকে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে বেঁধে কিডনিতে পাথর তৈরিতে সাহায্য করে। অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালংশাক, চকোলেট, রাঙালু, চিনাবাদাম, কফি ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন।
  • প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া কমিয়ে দিন: গরু, হাঁস-মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস ইত্যাদি প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া কমিয়ে দিন বা পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন।
  • ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলুন: ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিকে দ্বিগুণ করে দিতে পারে, বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে।
  • ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখুন: চাঙ্কা পিয়েদ্রা ইত্যাদির মতো একাধিক ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি কোনোরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই কিডনির পাথরকে দ্রবীভূত করতে সফল বলে দেখা গেছে। বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি অন্বেষণ করুন।
  • নিজের ওষুধপত্রের ব্যাপারে নিজের ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: কিছু ওষুধ যেমন ডিকনজেসট্যান্ট, ডাইইউরেটিক্স, অ্যান্টিকনভালস্যান্ট, স্টেরয়েড ইত্যাদির ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। সুতরাং, ওষুধপত্রের ব্যাপারে নিজের ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজন হলে ওষুধ পরিবর্তন করুন। কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আপনার নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

কিডনির পাথর বের করার ধাপগুলি কী কী?

কিডনির পাথর বের হওয়ার সময়কাল নির্ভর করে সেই পাথরের আকারের উপর। সাধারণত ছোট পাথর 1-2 সপ্তাহের মধ্যে বেরিয়ে যায়, কিন্তু বড় পাথর পুরোপুরি বেরোতে 4 সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কিডনির পাথর বের করার 4টি পর্যায় রয়েছে:

  • 1ম পর্যায়: এই পর্যায়ে পাথরটি কিডনির মধ্যে দিয়ে পাস করে। পিঠে ও দেহের পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে যা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থেকে যেতে পারে বা মাঝে মাঝেই দেখা দিতে পারে।
  • 2য় পর্যায়: 2য় পর্যায়ে পাথরটি ইউরেটরে প্রবেশ করে। এই সময়ে ব্যথার মাত্রা ও তীব্রতা পাথরের আকারের ওপর নির্ভর করে।
  • 3য় পর্যায়: সাধারণত পাথরটি মূত্রথলিতে পৌঁছালে ব্যথা পুরোপুরি কমে যায়। এই সময়ে প্রস্রাবের প্রবণতা ও চাপ বেড়ে যায়, বিশেষ করে যদি পাথরটি মূত্রনালীতে আটকে থাকে, যা প্রস্রাবের প্রবাহকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
  • 4র্থ পর্যায়: চূড়ান্ত পর্যায়ে পাথরটি মূত্রনালীতে পৌঁছায়, মূত্রনালীর ছিদ্র দিয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে পাথরটি বের করতে হয়।
Read More