Select City Sidebar Icon
শহর নির্বাচন করুন
শহর নির্বাচন করুন
phone icon in white color

Call Us

Book Appointment

এনজিওপ্লাস্টি কি?

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, পারকিউটেনিয়াস ট্রান্সলুমিনাল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, হল সরু বা অবরুদ্ধ রক্তনালীগুলিকে বা অবরুদ্ধ শিরা ও ধমনীকে খোলার জন্য একটি ন্যূনতম এন্ডোভাসকুলার পদ্ধতি। এই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সাধারণভাবে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের সঠিক চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, এটি ধমনীর ভিতরে সৃষ্টি হওয়া প্লাককে সরিয়ে দেয় যেটি রক্ত প্রবাহ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক এবং সাংঘাতিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

সারা বিশ্বে সাধারণত বছরে 2 মিলিয়নেরও বেশি মানুষের করোনারি এনজিওপ্লাস্টি করা হয়। একটি খুদ্র বেলুন ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালীতে ধুকিয়ে দেওয়া হয় এবং স্ফীত করা হয়। ফোলা বেলুন জোর করে রক্তনালী এবং তার পাশের পেশীবহুল প্রাচীরকে দীর্ঘায়ত করে, রক্ত প্রবাহ কে স্বাভাবিক করে তোলে । বেলুন সার্জারির পাশাপাশি, স্টেন্টও ঢোকানো যেতে পারে যা রক্তনালীটিকে খোলা রাখে এবং রক্ত কোনোরকম বাধা ছাড়াই প্রবাহিত হতে পারে । পরে, বেলুনতিকে ফাটিয়ে দেওয়া হয় এবং সেটি বের করে নেওয়া হয়।

ওভারভিউ

know-more-about-Angioplasty-treatment-in-
কারা বেলুন এনজিওপ্লাস্টি করতে পারে?
  • বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট র মত করোনারি ধমনী রোগের লক্ষণ যা ওষুধ বা জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে উপশম করা যায় না।
  • তাদের করতে হবে যাদের করোনারি ধমনীতে অবরুদ্ধতা বা সংকীর্ণতা থাকায় হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্তের প্রবাহ কম হচ্ছে ।
  • এমন একটি ব্লকেজ যা এনজিওপ্লাস্টির চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো ভাবে প্রশস্ত করা যায় না।
  • যাদের সার্জারি চলাকালীন ব্যাবহার করা ওষুধগুলিতে কোনও রক্তপাতের আশঙ্কা বা অ্যালার্জি নেই।
  • জাদের কোনরকম গুরুতর কিডনি বা লিভারের অসুখ নেই যা সার্জারির ফলাফল কে পরিবর্তন করতে পারে।
  • কোন গুরুতর হার্ট ভালভ-এর রোগ বা যাদের হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার কোন সম্ভহবনা নেই ।
  • কোন উন্মুক্ত রক্ত জমাট বা চেরা টিস্যু নেই যা সার্জারিটিকে বিপজ্জনক বা কঠিন করে তুলতে পারে।
এনজিওপ্লাস্টি কন রোগের চিকিৎসা করে?
  • এনজিওপ্লাস্টি “এথেরোস্ক্লেরোসিসের” চিকিৎসা করে: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে কোলেস্টেরল এবং চর্বি দিয়ে তৈরি একটি স্তর ধমনীর দেয়ালে জমা হয় । এককথায় বলা যেতে পারে , অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি অবরুদ্ধ ধমনীর চিকিৎসা করে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি শরীরের বিভিন্ন অংশে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস চিকিৎসা করে থাকে ।
  • পেরিফেরাল আর্টারি রোগ: হয় হাত, পা এবং পেলভিস ধমনীতে।
  • করোনারি আর্টারি রোগ : হার্টের পেশীতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে রক্ত প্রবাহের বাধা।
  • ক্যারোটিড ধমনী রোগ: ঘাড়ের ধমনীতে অবরুদ্ধতা যা ধমনীর বাধার কারণে স্ট্রোক করতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ: অর্থাৎ কিডনির ধমনীতে প্লাক তৈরি হওয়া।
বেলুন এনজিওপ্লাস্টির ঝুঁকি এবং জটিলতা?
  • যেখানে ক্যাথেটার বসানো হয় সেখানে রক্তপাত বা ক্ষত
  • রক্তর জমাট বাঁধা যার জন্য হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে
  • ধমনীর ক্ষতি বা ছিঁড়ে যাওয়া
  • রেস্টেনোসিস অর্থাৎ ধমনীর পুনরায় সংকীর্ণতার চিকিৎসা করা হয়েছিল
  • করোনারি ধমনী পৃথক্করণ অর্থাৎ ধমনীর দেয়ালে ছিঁড়ে যাওয়া
  • সার্জারি চলাকালীন কনট্রাস্ট রঞ্জকের কারণে কিডনির ক্ষতি হওয়া
  • অ্যারিথমিয়াস বা পরিবর্তনশীল হৃদস্পন্দন
  • ক্যাথেটার সংশ্লিষ্ট সাইটে সংক্রমণ
  • স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক
এনজিওপ্লাস্টির প্রয়োজন হয়, যদি
  • বুক ব্যাথা,
  • নিঃশ্বাসের অসুবিধা,
  • হাঁটার সময়ে পায়ে ব্যথা,
  • সামান্য শারীরিক পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
function at() { [native code] }

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে কী হয় - রোগ নির্ণয় এবং তার চিকিৎসা

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার আগে রোগ নির্ণয়

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে সম্ভবত কোনো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার দরকার হয় না। কিন্তু রোগী অস্ত্রোপচারের জন্য সুস্থ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কার্ডিওভাসকুলার সারজানরা কয়েকটি পরীক্ষা করতে হতে পারে। এনজিওপ্লাস্টি  করার আগে, আপনার ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্যের পর্যায় নির্ণয় করতে এবং আপনি এনজিওপ্লাস্টি করার জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ণয় করতে নিম্নলিখিত কয়েকটি পরীক্ষা করতে পারেন। সেই সাধারণ পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • শারীরিক পরীক্ষা – আপনার ডাক্তার আপনার রোগের লক্ষণ এবং আপনার আগের কোন রোগের  ইতিহাস উপলব্ধি করার জন্য একটি শরীরসম্বন্ধীয় পরীক্ষা করবেন।
  • ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) – ইসিজি আপনার হৃদয়ের কার্যকলাপ বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাধ্যমে পরিমাপ করে এবং আপনার করোনারি সিস্টেমে কোনো অনিয়ম আছে কিনা তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
  • ইকোকার্ডিওগ্রাম – ইকোকার্ডিওগ্রাম হৃৎপিণ্ডের একটি ছবি তৈরি করে  হৃৎপিণ্ডের গঠন বা কার্যকারিতার মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা থাকেলে তা নির্ণয় করতে পারে।
  • স্ট্রেস টেস্ট – স্ট্রেস টেস্ট শারীরিক কার্যকলাপের সময় আপনার হৃদয়ের প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করে এবং করোনারি ধমনীর রোগ থাকলে তা নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। এনজিওপ্লাস্টির জন্য এটি আবশ্যক  নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিছু থাকলে তা ডাক্তারকে অস্ত্রোপচারের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে পারে।
  • করোনারি এনজিওগ্রাম – করোনারি এনজিওগ্রাম আপনার হৃৎপিণ্ডের এমন একটি এক্স-রে যা ধমনীর রক্ত প্রবাহ দেখানোর জন্য রঞ্জক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পরীক্ষা শিরার যেকোনো ব্লকেজের অবস্থান এবং তার তীব্রতা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

এনজিওপ্লাস্টি চিকিৎসা

  • এই পদ্ধতির আগে, ডাক্তার একটি বেদনাহর এবং স্থানীয় চেতনানাশক দেবেন যা আপনাকে শিথিল করে দেবে যা ক্যাথেটার ঢোকানো সময় জায়গাটিকে অসাড় করতে সাহায্য করবে। সার্জন আপনাকে একটি এক্স-রে টেবিলে  শোয়াবেন  এবং আপনার হার্ট রেট,, রক্তচাপ ,অক্সিজেনের মাত্রা ইত্যাদি  গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি পরীক্ষা করবেন।
  • সার্জন আপনার ত্বকে একটি ক্ষুদ্র ছেদ করবেন এবং ক্যাথেটার নামক একটি পাতলা, নমনীয় টিউব আপনার কুঁচকি, বাহু বা কব্জির  রক্তনালীতে ঢোকাবেন। ডাক্তার এক্স-রে ইমেজিং ব্যবহার করে আপনার ধমনীর  ব্লকেজের জায়গায় রক্তনালীতে ক্যাথেটারকে প্রবেস করাবেন  । ক্যাথেটারের শেষের দিকে একটি ছোট বেলুন থাকবে।
  • ক্যাথেটারটি ব্লকেজের জায়গায় পৌঁছে গেলে, ক্যাথেটারের শেষে থাকা বেলুনটি  প্লাকটিকে ধমনীর প্রাচীরের কাছে  ধাক্কা দেওয়ার জন্য স্ফীত হবে। এটি শিরার সংকীর্ণ পথকে প্রশস্ত করে রক্তকে অবাধে প্রবাহিত হতে দেবে। কিছু  কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে, চিকিৎসার এই পদ্ধতিটি একাধিকবার করা হতে পারে।
  • কিছু রোগীর, ধমনী খোলা রাখার জন্য ধমনীতে একটি ক্ষুদ্র স্টেন্ট বসানো হতে পারে। স্টেন্ট ধমনীর দেয়ালকে ধরে রাখে এবং ভবিষ্যতে ভেঙে পড়া থেকে রোধ করে।
  • এই পদ্ধতিতে ব্লকেজ পরিষ্কার হয়ে গেলে এবং স্টেন্ট স্থাপন করা  হয়ে গেলে  সার্জন ক্যাথেটারটি বের করে নেনে  এবং একটি কম্প্রেশন ডিভাইস বা ছোট ব্যান্ডেজ  দিয়ে ছিদ্র স্থানটি বন্ধ করে দেন।

কেন প্রিস্টিন কেয়ার?

বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে

01.

সারা বাংলাদেশে ৫০ + রোগের জন্য পরামর্শ পান

প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

02.

প্রযুক্তির সাথে চিকিৎসা দক্ষতা

আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।

03.

অভিজ্ঞ সার্জারি সহায়ক

একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।

04.

সার্জারির পরের যত্ন

We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

বেলুন এনজিওপ্লাস্টি কি নিরাপদ?

বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সংকীর্ণ বা অবরুদ্ধ শিরাগুলির চিকিৎসার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর বলে মনে করা হয়। পদ্ধতিটি বহু বছর ধরে করা হয়ে থাকে এবং কয়েকটি জটিলতা বাদে এটিতে উচ্চ সাফল্যের সম্ভবনা রয়েছে। তবে, যেকোনো অস্ত্রোপচারের মতো, বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ঝুঁকি রয়েছে। জটিলতাগুলির মধ্যে সংক্রমণ, রক্তপাত, কনট্রাস্ট ডাই-এর অ্যালার্জি, শিরা বা অঙ্গগুলির হানি, বা অ্যানেশেসিয়া-সম্পর্কিত জটিলতা থাকতে পারে।
এনজিওপ্লাস্টির সাথে সংলগ্ন কোনো অস্ত্রোপচারের জটিলতা রোধ করার জন্য একজন অভিজ্ঞ কার্ডিয়াক সারজান এর সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।বাংলাদেশে এর Pristyn Care এর সাথে যোগাযোগ করুন বেলুন এনজিওপ্লাস্টির জন্য সেরা কার্ডিওভাসকুলার সার্জনের সাথে পরামর্শ করতে ।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে স্টেন্ট এর কার্যকারিতা কি ?

বেলুন এনজিওপ্লাস্টি পদ্ধতির সময় স্টেন্ট ধমনী খোলা রাখতে সাহায্য করে। স্টেন্ট হল একটি ছোট, জালের মতো ধাতুর নল যা ধমনীতে বসানো হয় যাতে ধমনী খোলা থাকে এবং এইগুলি আবার সংকুচিত হতে না পারে । অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি পদ্ধতিতে সাধারণত স্টেন্ট একটি বেলুন ক্যাথেটারের উপর বসানো হয়। স্টেন্টিং ধমনী রক্ত প্রবাহ খোলার জন্য একটি আদর্শ চিকিৎসা হয়ে উঠেছে এবং এটি প্রায়শই বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সাথে করা হয়ে থাকে।

বেলুন এনজিওপ্লাস্টি কি একটি স্থায়ী চিকিৎসা হতে পারে ?

পৃথক ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে এনজিওপ্লাস্টির ফলাফল অস্থায়ী এবং স্থায়ী দুইই হতে পারে ।যদি ব্লকেজটর আকার ছোট হয় বা ব্লকেজের অন্তর্নিহিত অবস্থার সমাধান করা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে বেলুন এনজিওপ্লাস্টি একটি স্থায়ী চিকিৎসা হতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে গুরুতর ক্ষেত্রে ব্লকেজ আবার হতে পারে যাতে অতিরিক্ত পদ্ধতি বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়ে থাকে । আপনার ডাক্তার আপনার অবস্থাটি যত্ন সহকারে পরীক্ষা করবেন এবং পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা ও ফলো-আপ পক্রিয়া বা ওষুধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চর্চা করবেন। বেলুন এনজিওপ্লাস্টির পরে আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী সাবধানে অনুসরণ করতে হবে যাতে এর পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমনো যেতে পারে এবং সর্বোত্তম ফলাফল লাভ করতে পারেন।

বাইপাস সার্জারি কীভাবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি থেকে আলাদা?

বাইপাস সার্জারি এবং অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি উভয়ই অবরুদ্ধ ধমনীর চিকিৎসা পদ্ধতি। উভয়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল পদ্ধতিগুলি কীভাবে সঞ্চালিত করা হয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে। নাম থেকেই বোঝা যায়, বাইপাস সার্জারি হল থমকে থাকা ধমনীর রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখার একটি অস্ত্রোপচার মাত্র , অন্যদিকে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হল ধমনীর অবরোধের সার্জারির জন্য একটি ন্যূনতম সম্ভাব্য পদ্ধতি।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়ে থাকে ছোট শিরা ব্লকেজের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বাইপাস সার্জারি হয়ে থাকে সাধারণত বড় মাপের ব্লকেজের চিকিৎসার জন্য।

এনজিওপ্লাস্টি করতে কতক্ষণ সময় লাগে?

একটি সাধারণ এনজিওপ্লাস্টি সার্জারিকে সম্পন্ন হতে মোটামুটি 30 মিনিট থেকে 2 ঘন্টার মত সময় লাগে। এই পদ্ধতি করার আগে প্রস্তুতির সময়, যার মধ্যে রোগীকে অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া এবং রোগীকে সার্জারিটির জন্য প্রস্তুত করার সময় অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশে বেলুন এনজিওপ্লাস্টির কত খরচ?

বাংলাদেশে –তে বেলুন এনজিওপ্লাস্টির খরচ ____টাকা  থেকে ____ টাকা পর্যন্ত হতে পারে  তবে, চিকিৎসার জন্য  ব্লকেজের আকার , হাসপাতালের কার্ডিওভাসকুলার সার্জনের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা, অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত  জটিলতা ইত্যাদির উপর জন্য খরচ পরিবর্তিত হতে পারে

বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সুবিধা কী?

বেলুন এনজিওপ্লাস্টি একটি কম বিপদ যুক্ত সার্জারি যা করোনারি ধমনীর রক্ত প্রবাহের বাধা বা সংকীর্ণতার চিকিৎসা করতে পারে। বেলুন এনজিওপ্লাস্টির কিছু সুবিধা গুলির মধ্যে রয়েছে:

  • উন্নত রক্ত প্রবাহ – বেলুন এনজিওপ্লাস্টি সরু বা অবরুদ্ধ ধমনীকে বড় করতে পারে যার জন্য হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ উন্নত হয় এবং এটি বুকে ব্যথার মতো লক্ষন গুলিও কমাতে পারে।
  • ন্যূনতম আক্রমণাত্মক – চিরাচরিত ওপেন-হার্ট সার্জারির থেকে বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি কম বিপদসংকুল । এই পদ্ধতির জন্য একটি বড় কাটা বা দীর্ঘ সময় সেরে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় না।
  • সংক্ষিপ্ত পুনরুদ্ধারের সময় – যেহেতু এই পদ্ধতিতে কোনও বড় ছেদ নেই, তাই সেরে ওঠার সময়ও তুলনামূলকভাবে কম লাগে।
  • সংক্ষিপ্ত হাসপাতালে থাকা – বেশিরভাগ রোগী সেই একই দিনে বা বেলুন এনজিওপ্লাস্টি করার এক বা দুই দিনের মধ্যে বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। কম সময়ের জন্য হাসপাতালে থাকায় খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়।
  • জটিলতার কম ঝুঁকি – বেলুন এনজিওপ্লাস্টি চিকিৎসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকি বা রক্তপাতের ঝুঁকি কম থাকে।
  • উন্নত জীবনের মান – করোনারি ধমনীর রোগ বা ধমনীতে রক্তের প্রবাহের বাধাগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য, এই বেলুন এনজিওপ্লাস্টি পদ্ধতিটি জীবনের মান ভালও করতে সাহায্য করে।

বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার আগে আপনার কার্ডিওলজিস্টকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন এমন প্রশ্ন।

কার্ডিওলজিস্টের কাছ থেকে আপনি যদি আপনার চিন্তার সঠিক উত্তর পান তবে তা আপনাকে সার্জারিটির জন্য আরও দিরহ ভাবে প্রস্তুত করতে পারে। বেলুন এনজিওপ্লাস্টি করার আগে আপনি কার্ডিওভাসকুলার সার্জনকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ঃ

  • বেলুন এনজিওপ্লাস্টির করার উদ্দেশ্য কী এবং এটি কীভাবে সাহায্য করে?
  • বেলুন এনজিওপ্লাস্টির জন্য আমার বিকল্প উপায় কি কি?
  • স্টেন্টিং এবং এনজিওপ্লাস্টি কি আমার জীবন রক্ষা করতে পারবে ?
  • সার্জারির সময় কী ধরনের অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হবে?
  • পদ্ধতিটি কতক্ষণ ধরে চলবে ?
  • আমাকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে?
  • সার্জারির পরে আমার কী ধরনের যত্নের প্রয়োজন এবং আমার সেরে উঠার সময় আমার কী আশা করা উচিত?
  • এই পদ্ধতির পরে আমার দিন চারিতার উপর কোন সীমাবদ্ধতা আছে কি?
  • বেলুন এনজিওপ্লাস্টির পরে এই ব্লকেজের কি পুনরাবৃত্তি হতে পারে ?
  • পদ্ধতির পরে কত বার আমায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং আরও কোন পরীক্ষা করতে হবে কিনা ?
  • আমার কোন কোন উপসর্গগুলি বা লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা উচিত যেগুলি এই পদ্ধতির পরে একটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং কখন আমায় আবার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ?

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সার্জারির পরে পুনরুদ্ধার

বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরে, ডাক্তার আপনার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলি পরীক্ষা করবেন এবং আপনাকে সুস্থ মনে করলে তবেই এক বা দুই দিনের মধ্যে বাড়ি যেতে সুযোগ দেবেন। আপনাকে পদ্ধতির পরে অ্যানেস্থেশিয়া সম্পূর্ণ চলে যাওয়ার জন্য এবং কোনও জটিলতার যাতে সৃষ্টি না হয় তা নিরীক্ষণ করার জন্য কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হবে। পুনরুদ্ধারের সময় , আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর এবং পদ্ধতির পরিমাণ-এর উপর নির্ভর করবে।

পদ্ধতির জায়গায় কিছু বেদনা বা অস্বস্তি হতে পারে, যা ওষুধ দিয়ে ঠিক করা যেতে পারে। আপনার কার্যকলাপ, ভারী জিনিস তোলা, বা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলি এড়িয়ে চলা উচিত যা সার্জারি টির পরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আক্রান্ত এলাকায় চাপ তৈরি করতে পারে।

আপনার ডাক্তার এই রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে এবং জটিলতার আশঙ্কা কমাতে ওষুধ দিতে পারেন এবং এই ওষুধগুলি নির্ধারিত সময়ে গ্রহণ করা আবশ্যক ।&

অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং পদ্ধতির কার্যকারিতা মূল্যবিচার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার সার্জনের সঙ্গে ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য দেখা করতে হবে।

আপনার ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশাবলী সাবধানে অনুসরণ করে, বেলুন এনজিওপ্লাস্টির পরে সফল ভাবে সেরে উঠতে পারেন ।

  • অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরে জীবন যাত্রা র পরিবর্তন – জীবনধারা পরিবর্তন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। এখানে এনজিওপ্লাস্টির পরে কিছু নির্দিষ্ট জীবনধারা পরিবরতনের কথা রয়েছে:
  • ধূমপান ত্যাগ করুন – ধূমপান ত্যাগ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যা একজন ব্যক্তিকে তার হৃদয়ের উন্নতি করতে পারেন।
  • হার্টের জন্য একটি সুষম ডায়েট অনুসরণ করুন – ট্রান্স ফ্যাট,স্যাচুরেটেড, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম কম খাবার, ফল,, গোটা শস্য, শাকসবজি , চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া ।
  • শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন – হালকা থেকে মাঝারি কার্ডিও ব্যায়াম করুন জা আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং ভবিষ্যতে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে ।
  • সঠিক ওজন বজায় রাখুন – হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে শরীরের ওজন সঠিক ভাবে বজায় রাখুন।
  • ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ সেবন করুন – কোলেস্টেরল,রক্তচাপ, এবং হৃদরোগে সম্ভবনা রয়েছে এমন অন্যান্য অবস্থার রোধ করারা জন্য আপনার ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশাবলী এবং ওষুধ অনুসরণ করুন।
Read More