Select City Sidebar Icon
শহর নির্বাচন করুন
শহর নির্বাচন করুন
phone icon in white color

Call Us

Book Appointment

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি কি?

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি (CABG) হল করোনারি ধমনী রোগের সঠিক চিকিৎসার জন্য একটি সফল অস্ত্রোপচার পদ্ধতি। যেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রক্তের প্রবাহের একটি নতুন রাস্তা তৈরি করা এবং অক্সিজেন সরবরাহ হৃদয়ে ভাল করার জন্য সংকীর্ণ বা অবরুদ্ধ করোনারি ধমনীগুলির চিকিৎসা করা হয় ।একটি করোনারি ধমনী রোগ ,হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীর দেয়ালে প্লাক জমা হওয়ার জন্য হয় । এটি হার্ট অ্যাটাকের মতো জীবন-হানির এবং হৃদরোগের ঝুঁকির ও সম্ভবনা রয়ে সাথে।

এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, সার্জন রোগীর পা বা বুক থেকে সুস্থ রক্তনালীটি কেটে এবং ব্লকেজের কাছাকাছি ধমনীর সাথে যুক্ত করবেন। এই পদ্ধতি হার্টে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ করে হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য ভয়ানক হৃদরোগের ঝুঁকি কমানতে সাহায্য করে।

CABG সুপারিশ করা হয় যখন অন্যান্য চিকিৎসা, যেমন জীবনধারার পরিবর্তন বা যেকোনো ওষুধ যখন গুরুতর করোনারি ধমনী রোগের রোগীদের জন্য কাজ দেয় না। এই পদ্ধতিটি সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়ার মধ দিয়ে করা হয়ে থাকে এবং হাসপাতালে কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহের মত থাকার প্রয়োজন হতে পারে।

ওভারভিউ

know-more-about-CABG-treatment-in-
করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির জন্য সঠিক প্রার্থী
  • যে ব্যক্তির অবরুদ্ধ বা সরু ধমনী রয়েছে
  • কোন রকম ওষুধ কাজ করছে না
  • কোন প্রাক-বিদ্যমান স্বাস্থ্য অবস্থা না থাকা
  • জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে জারা উদ্যোগী নন
অস্ত্রোপচারের অন্যান্য নাম
  • করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং।
  • CABG — উচ্চারন হয় " কাবেজ”
  • হার্ট বাইপাস সার্জারি।
  • করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি।
করোনারি ধমনী রোগের উপসর্গ
  • বুকের মধ্যে অস্বস্তি বা ব্যথা
  • নিঃশ্বাসের কষ্ট
  • পা ফুলে যাওয়া
  • হৃদস্পন্দন
  • ক্লান্তি
কেন CABG সার্জারি করা হয়?
  • রক্ত প্রবাহকে পুনরায় স্বাভাবিক করা
  • হার্টের ক্ষতিগ্রস্ত ভালভ মেরামত বা পুনরায় স্থাপন করা
  • হার্টের পাম্পিং পক্রিয়া উন্নত করা
  • হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমান
function at() { [native code] }

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি পদ্ধতি

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারিতে কী হয় ?

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি একটি বড় সার্জারি, এবং আপনার ডাক্তার আপনাকে বিভিন্ন ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন এই পদ্ধতিটি করবার আগে । প্রতিটি রোগীর পূর্ব – চিকিৎসার ধরন এবং স্বাস্থ্যের অভস্থার উপর নির্ভর করে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলিকে পরিবর্তন করতে হতে পারে। কিছু সাধারন পরীক্ষা নীচে উল্লেখ করা হয়েছে যার অস্ত্রোপচারের আগে প্রয়োজন হতে পারে।

  1. করোনারি এনজিওগ্রাম: করোনারি এনজিওগ্রাম করোনারি ধমনীর ব্লকেজের অবস্থান এবং তার তীব্রতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে ।
  2. ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG): বারবার হৃৎপিণ্ডের কার্ডিয়াক চক্রের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক ক্রিয়া পরীক্ষা করা।
  3. ইকোকার্ডিওগ্রাম: এটি হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া এবং রক্ত প্রবাহকে দেখার জন্য করা হয়ে থাকে
  4. ব্যায়াম স্ট্রেস পরীক্ষা এবং নিউক্লিয়ার কার্ডিয়াক স্ট্রেস পরীক্ষা: বাইরের চাপের প্রতিক্রিয়া হৃদয়ের ক্ষমতার ওপর কতটা হয় তা জানার জন্য পরীক্ষা করা হয় ।
  5. কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন: হার্টের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য করা হয়ে থাকে।
  6. ইমেজিং পরীক্ষা: এক্স-রে এনজিওগ্রাফি বা কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যান অ্যাঞ্জিওগ্রাফি।
  7. ল্যাব পরীক্ষা: আপনার রক্তে শর্করার পরিমান ,কোলেস্টেরল এর মাত্রা এবং অন্যান্য কারণগুলি দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয় ।আপনার প্রস্রাব পরীক্ষা করা হয়ে থাকে আপনার কিডনি কতটা ভাল কাজ করছে তা বিশ্লেষণ করার জন্য।
  8. পালমোনারি ফাংশন পরীক্ষা করা হয় ফুসফুসের কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য।
  9. বুকের এক্স-রে করা হয় ফুসফুস এবং হার্টের মূল্যায়ন করার জন্য।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির পদ্ধতি

সার্জন প্রথমে আপনাকে সাধারণ এনেস্থেশিয়া দিয়ে অসাড় করবেন যাতে আপনি কোনও বেদনা বা অস্বস্তি অনুভব করতে না পারেন । একবার আপনি অজ্ঞ্যান হয়ে গেলে, সার্জন আপনার বুকের মাঝখানে একটি বড় কাটা তৈরি করবেন যাতে আপনার হৃদয়ে প্রবেশের জন্য বুকের হাড় গুলিকে আলাদা করা যায় । তারপরে পা বা বুকের কোন অংশ থেকে একটি সুস্থ রক্তনালী বের করা হয়। তারপর , ব্লকেজের উপরে এবং নীচের করোনারি ধমনীতে সুস্থ রক্তনালী যোগ করে একটি নতুন রক্ত প্রবাহের রাস্তা তৈরি করা হয়।

সার্জনরা ব্লকেজের মানের উপর নির্ভর করে একটি অপারেশনে বেশ কয়েকটি বাইপাস পদ্ধতি তৈরি করতে পারে। বাইপাস সার্জারি সঞ্চালিত হওয়ার পরে স্তনের কাটা হাড় যোগ করতে একটি তার ব্যবহার করা হয় এবং কাটা অংশটি বন্ধ করার জন্য সেলাই বা স্ট্যাপল এর লাগানো হয়।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির কয়েকটি প্রকারগুলি হল:

  • অফ-পাম্প বা বিটিং-হার্ট সার্জারি: অফ-পাম্প বা বিটিং-হার্ট সার্জারি একটি ন্যূনতম ক্ষতিকর কার্ডিওথোরাসিক পদ্ধতি যা হার্ট-ফুসফুসের মেশিনের দরকার ছাড়াই করা জেতে পারে । অপারেশন পক্রিয়া চলাকালীন একটি স্থিতিশীল যন্ত্র হৃদপিণ্ডকে স্থির রাখতে সার্জন ব্যবহার করে থাকেন । এই ধরনের সার্জারি কিছু ঝুকির সম্ভবনা কমিয়ে দেয় এবং এটি রোগীর জন্য ভাল ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম হয় ।
  • ন্যূনতম আক্রমণাত্মক CABG: ন্যূনতম ক্ষতিকারক করোনারি ধমনী সার্জারি বা এনজিওপ্লাস্টি চিরাচরিত ওপেন-হার্ট সার্জারির একটি বিকল্প যাতে বুকের মাত্র কয়েকটি ছোট ছিদ্র করা হয় । কৌশলটিতে করোনারি ধমনীতে একটি ক্যাথেটার ঢোকানো হয় ধমনীর অবরোধ মুক্ত করতে । এই পদ্ধতি করতে সাধারণত স্থানীয় অ্যানেশেসিয়া দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ এবং পুনর্বাসনের জন্য হাসপাতালের ঘরে পাঠাবার আগে, রোগীকে পুনরুদ্ধার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে আর কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাওয়ার অনুমতির আগে রোগীকে এই অস্ত্রোপচারের পর কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে । রোগীর সেরা ওঠা নির্ভর করে রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর যার জন্য সেরে উঠতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

কেন প্রিস্টিন কেয়ার?

বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে

01.

সারা বাংলাদেশে ৫০ + রোগের জন্য পরামর্শ পান

প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

02.

প্রযুক্তির সাথে চিকিৎসা দক্ষতা

আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।

03.

অভিজ্ঞ সার্জারি সহায়ক

একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।

04.

সার্জারির পরের যত্ন

We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি সম্পর্কে সম্ভাব্য জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি কি নিরাপদ?

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি করোনারির ধমনীতে ব্লকেজের চিকিৎসার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর পক্রয়া এটি বারংবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে, লক্ষন কমাতে এবং দীর্ঘ আয়ুর ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে , অন্যান্য অস্ত্রোপচারের মতো, এই CABG এর সঙ্গেও সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং জটিলতার সম্ভবনা রয়েছে। করোনারি বাইপাস সার্জারির সম্পর্কিত যেকোনো অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি এড়াতে, একজন অভিজ্ঞ কার্ডিওথোরাসিকের সাথে পরামর্শ করা খুবি দরকার । বাইপাস সার্জারির জন্য, বাংলাদেশ-র Pristyn Care-এর সাথে যোগাযোগ করুন শীর্ষ কার্ডিওথোরাসিক সার্জনের সাথে পরামর্শ করারা জন্য।

বাংলাদেশে করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারির খরচ কত?

বাংলাদেশে করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারির খরচ ৳ 2,30,000 থেকে ৳ 5,50,000 এর মধ্যে হতে পারে। যাইহোক, অস্ত্রোপচারের চূড়ান্ত খরচ ব্লকেজের পরিমাণ, হাসপাতালের চার্জ, কার্ডিওভাসকুলার সার্জনের চার্জ এবং অন্যান্য হেলথলাইন অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি থেকে সেরে উঠতে কতক্ষণ সময় লাগে?

করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারি থেকে সেরে উঠতে সাধারণত ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে। এই সময়ে, সফল পুনরুদ্ধার পাকা করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে রেগুলার ফলো-আপ এর জন্য দেখা করা অবশ্যম্ভাবী।

CABG-পরবর্তী জটিলতাগুলি কী কী?

CABG-পক্রিয়ার পরবর্তী জটিলতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে

  • কাটার জায়গাটির সংক্রমণ
  • রক্তপাত
  • অ্যারিথমিয়া এবং স্ট্রোক।
  • রক্ত জমাট বাঁধা
  • কারো কারো ফুসফুস বা কিডনির বিভিন্ন সমস্যাও হতে পারে।

হার্ট ব্লকেজ সার্জারির পর বেঁচে থাকার মান কত?

হার্ট ব্লকেজ সার্জারি যাকে করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং (CABG) নামেও বলা হয়ে থাকে ,এটি একটি অত্যন্ত সফল পদ্ধতি যার বেঁচে থাকার হার 95 শতাংশের বেশি অপারেশনের পাঁচ বছর পর থেকে । দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার হার 90 শতাংশেরও বেশি রোগীদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের 15 বছর পর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

একজন ব্যক্তি কি হার্ট ব্লকেজ নিয়ে দীর্ঘদিন বাঁচতে পারেন?

পারেন,তবে হার্ট ব্লকেজের নিয়ে বাঁচা কততা সম্ভব তবে তা ব্লকেজের মাত্রার উপর নির্ভর করবে । যদি ব্লকেজ এর মাত্রা হালকা হয় এবং সঠিক জীবনধারার পরিবর্তন যেমন সুষম ডায়েট অনুসরণ করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা সম্ভাব্য জটিলতার ঝুঁকি কমাতে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে। তবে ব্লকেজ যদি আরও গুরুতর হয়, তবে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভবনা কমাতে অপারেশন বা অন্যান্য চিকিৎসার দরকার হতে পারে।

হার্ট বাইপাস এবং ওপেন হার্ট সার্জারির মধ্যে তুলনা কী?

বাইপাস হার্ট সার্জারিতে অবরুদ্ধ ধমনী বা শিরাকে বাইপাস করার জন্য শরীরের ভাল অন্য অংশ থেকে একটি সুস্থ শিরা বা ধমনী গ্রাফট করা হয় আর ওপেন হার্ট সার্জারি ক্ষেত্রে আরও দরবদ্ধ প্রক্রিয়া যার জন্য হৃৎপিণ্ডের কাছে যাবার জন্য এবং তাকে মেরামত করার জন্য বুকের গহ্বর খোলা হয়ে থাকে।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির পরে কীভাবে পুনরুদ্ধার করবেন?

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারি (CABG) এর পরে সেরে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে, কিন্তু ডাক্তারের সঠিক নির্দেশিকা মেনে চললে প্রক্রিয়াটিকে মসৃণ এবং সফল করতে পারে।

  • ঘাবড়ে যাবেন না: অস্ত্রোপচারের পরে এটিকে আপনাকে সহজভাবে নিতে হবে ।আপনাকে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কম করতে হবে, কঠোর কাজ কর্ম এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘন ঘন বিশ্রাম নিতে হবে।
  • ডায়েট: আপনার খাদ্য আপনার সেরে ওঠার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রয়োজন মত আপনাকে একটি নির্দিষ্ট খাদ্য নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে। এই নিয়মাবলির মধ্যে ফল, শাক,সবজি এবং পুরো শস্যের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে । বারে বারে খাবার খাওয়াও খুবি উপকারী।
  • হাইড্রেটেড থাকুন: বেশি করে জল পান আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, যথেষ্ট বিশ্রাম এবং ঘুম কেও আপনার দিনলিপির মধ্যে যোগ করুন।
  • যথাযথ ফলো-আপ নিন: সার্জারির পর জটিলতার লক্ষণগুলির দিকে আপনার নজর রাখা উচিত। আপনি যদি শ্বাসকষ্ট,বুকে ব্যথা, জ্বর, কাটা জায়গা ফুলে যাওয়া লা বা অন্য কোনো উপসর্গ অনুভব করেন তবে আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • সময়মতো ওষুধ গ্রহন করুন: আপনার ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেতে ভুলবেন না। এই ওষুধগুলি ফোলা এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করবে সেইসাথে সংক্রমণ প্রতিরোধেও উপকার দেবে।

এই নির্দেশিকাগুলি মেনে চললে করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির পরে আপনার পুনরুদ্ধার সফল হওয়া নিশ্চিত করে ৷ স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা,পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং সঠিক ওষুধের মাধ্যমে, আপনার সেরে ওঠার পক্রিয়া যতটা সম্ভব সফল এবং মসৃণ হবেই ।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির আগে আপনার কার্ডিওলজিস্টকে জিজ্ঞাসা করার জন্য কয়েকটি প্রশ্ন

যদি আপনি করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট (CABG) সার্জারি করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার অপারেশনের আগে কার্ডিওলজিস্টকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা খুবি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু মূল প্রশ্ন রয়েছে যা CABG সার্জারি করার আগে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করা দরকার। যেমন,

  • CABG সার্জারি কাকে বলে এবং এর সম্ভাব্য ঝুঁকি কি?
  • সুস্থ হবার প্রত্যাশিত সময় কতদিন ?
  • অস্ত্রোপচারের পরে আমাকে জীবনধারা কি পরিবর্তন করতে হবে?
  • অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত হবার জন্য আমি কি করতে পারি, যেমন ধূমপান ত্যাগ করা বা ওজন কমানো?
  • অস্ত্রোপচারের হবার আমার কী ধরনের নিরীক্ষণ এবং যত্নের প্রয়োজন আছে ?
  • অস্ত্রোপচার -এর সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটা ?
  • এই অস্ত্রোপচারের আর কোন বিকল্প আছে কি?
  • অস্ত্রোপচারে জন্য কতক্ষণ সময় লাগবে?
  • আমাকে কোন ধরনের এনেস্থেশিয়াদেওয়া হবে?
  • CABG অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত কোন ধরনের জটিলতা আছে কি?
  • আমাকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে ?
  • অস্ত্রোপচারের পরে আমার কোন ধরনের কার্যকলাপ করতে আশা করা পারি ?

অস্ত্রোপচারের করার আগে এই প্রশ্নগুলি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি এবং জটিলতা

করোনারি আর্টারি সার্জারি একটি বড় ধরনের সার্জারি যার কিছু জটিলতা এবং ঝুঁকি রয়েছে। করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট সার্জারির সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং জটিলতার একটি তালিকা নীচে দেওয়া রয়েছে।

  1. রক্তপাত – অস্ত্রোপচারের সময় বা পরে রক্তপাত হওয়া একটি সাধারণ জটিলতা। রোগীর রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোগী যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ না নেন তবে রক্তপাতের ঝুঁকি কিছুতা কম হয় ।
  2. সংক্রমণ – সংক্রমণ CABG-এর আরেকটি জটিলতা এবং এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়।
  3. স্ট্রোক – স্ট্রোকআর একটি বড় অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি। তাই রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য আগে থাকেই নির্ধারিত ওষুধ গ্রহন করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কম করা সম্ভব ।
  4. রক্তনালীগুলির ক্ষতি – অস্ত্রোপচারের সময় শিরাগুলির ক্ষতি হতে পারে যার জন্য রক্তপাত এবং অন্যান্য জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
  5. হার্ট অ্যাটাক – হার্ট অ্যাটাক একটি বিরল কিন্তু অস্ত্রো পচারের সময়ের একটি সম্ভাব্য জটিলতাঅ বটে । হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানর জন্য রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং নির্ধারিত ওষুধ গ্রহন করে কমানো যেতে পারে।
  6. রেনাল ফেইলিওর – রেনাল ফেইলিওর হল CABG এর একটি জটিলতা যা রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওষুধ দিয়ে কিডনির ব্যর্থতার ঝুঁকি কমানো হয়ে থাকে ।
  7. শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা – অস্ত্রোপচার করার সময় বা পরে সামান্য শ্বাসকষ্ট হতে পারে। রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিক ওষুধ দিয়ে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে ।
  8. রক্ত জমাট বাঁধা: -অস্ত্রোপচারের পরে ধমনীতে বা শিরাতে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে, যা, হার্ট অ্যাটাক ,স্ট্রোক বা অন্যান্য গুরুতর সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। তাই এই রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং নির্ধারিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে কমানো যেতে পারে।
  9. স্নায়ুর ক্ষতি – অস্ত্রোপচারের সময় যেকোনো নার্ভের ক্ষতি হতে পারে, যার জন্য আক্রান্ত স্থানে বেদনা, দুর্বলতা বা অসাড়তা র সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
  10. মৃত্যু – মৃত্যু যদিও বিরল কিন্তু CABG এর সম্ভাব্য ঝুঁকি বলা যেতে পারে ,যেখানে রোগীর রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিক ওষুধ দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো হয়ে থাকে ।

সব শেষে বলা যেতে পারে এই পদ্ধতিটি করার আগে সমস্ত ঝুঁকি এবং জটিলতাগুলি সঠিক ভাবে বিবেচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । যার জন্য রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং নির্ধারিত ওষুধ দিয়ে যেকোনো জটিলতার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

Read More