অ্যানাল ফিস্টুলা হল পায়ুপথের নালী ও পেরিয়ানাল ত্বকের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক চ্যানেল। সাধারণত পায়ুদ্বারের চারপাশে বিভিন্ন গ্রন্থি থাকে যা মিউকাস নিঃসরণ করে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে। তবে এই দ্বার আক্রান্ত হলে বা জমাট বেঁধে গেলে ফোড়া তৈরি হতে পারে। যদি ফোড়ার চিকিৎসা না করা হয় বা সঠিকভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে এটি ফিস্টুলাতে পরিণত হতে পারে।
প্রিস্টিন কেয়ার-এ অ্যানাল ফিস্টুলার ত্রুটিহীন চিকিৎসা প্রদানে সাহায্য করে এমন উন্নত প্রযুক্তি সহ ক্লিনিক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির একটি বড় সার্জিকাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এছাড়াও, আমরা আমাদের বিশেষ কেয়ার কোঅর্ডিনেটরের মাধ্যমে সকল রোগীদের নির্বিঘ্নে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকি। আমাদের কেয়ার কোঅর্ডিনেটররা চিকিৎসার আপডেট দিতে রোগীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখেন। এছাড়াও আমাদের একটি বিশেষ পেশেন্ট কেয়ার অ্যাপ রয়েছে যেখানে আপনি রিয়েল-টাইম আপডেট, ডকুমেন্টেশন এবং বিমাকরণে সহায়তা ইত্যাদি পাবেন।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ কোলোরেক্টাল সার্জনের কাছ থেকে অ্যানাল পেইন ও অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসার ব্যাপারে বিনামূল্যে পরামর্শ পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Consultation fees:
1000 Taka (Cash)
800 Taka (20% discount via Bkash)
Consultation fees:
1000 Taka (Cash)
800 Taka (20% discount via Bkash)
Consultation fees:
1000 Taka (Cash)
800 Taka (20% discount via Bkash)
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলা নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসক পায়ুদ্বার পরীক্ষা করবেন ও ফিস্টুলা ট্র্যাক্ট খুঁজবেন। ফিস্টুলার উপস্থিতির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা এর গভীরতা, অভিমুখ এবং উন্মুক্ত স্থানের সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। ফিস্টুলা নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু সাধারণ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা:
ওষুধের মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসা করা যায় না এবং চিকিৎসার জন্য সার্জারি প্রায় সব সময়ই প্রয়োজন। চিকিৎসার লক্ষ্য হল মলের অসংযম দূর করতে নালীটিকে বন্ধ করা। প্রিস্টিন কেয়ার-এ আপনি অ্যানাল ফিস্টুলার নিম্নলিখিত চিকিৎসা পেতে পারেন:
এগুলি হল ডেকেয়ার সার্জারি। বাংলাদেশের সেরা অর্শ্বরোগের হাসপাতালে উন্নত অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসা পেতে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।
বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে
প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।
আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।
একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।
We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.
আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অর্থাৎ সঠিক সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলা গঠনকে প্রতিরোধ করতে পারেন। আপনার পায়ু অঞ্চলে শুষ্কতা বজায় রাখা উচিত এবং মলের পায়ুপথ অতিক্রম করার সময় চাপ দেওয়া বন্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশে ফিস্টুলা লেজার অপারেশনের খরচ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য আলাদা হতে পারে। গড়ে, বাংলাদেশে ফিস্টুলা সার্জারির খরচ প্রায় ৳ 45,000 থেকে ৳ 60,000 এর মধ্যে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, ফিস্টুলা লেজার অপারেশন খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করবে যেমন সার্জারির ধরন, সার্জিক্যাল কেয়ার প্রয়োজন ইত্যাদি।
তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে, অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধের মাধ্যমে ফিস্টুলা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, তবে ফিস্টুলা নালীকে পুরোপুরি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হল সার্জারি। গুরুতর পরিস্থিতিতে এটি একটি জরুরি অবস্থায় পরিণত হতে পারে।
সাধারণত ফিস্টুলা পুনরায় ঘটার হার খুব বেশি (প্রায় 50%) হয়, বিশেষ করে যে সকল রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পান না, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। গুরুতর ফিস্টুলা পুনরায় হওয়া থেকে বাঁচতে উপসর্গ দেখানো শুরু করার সাথে-সাথেই অ্যানোরেক্টাল চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।
অ্যানাল ফিস্টুলার অন্যতম সবচেয়ে কার্যকর ও সফল চিকিৎসা হল ওপেন ফিস্টুলোটোমি, যেখানে সাফল্যের হার 87-94%। লেজার সার্জারি তুলনামুলকভাবে নিরাপদ এবং লেজার ফিসচুলোটোমির সাফল্যের হার প্রায় 95-99% হয়।
ফিস্টুলোটোমির পরে আরোগ্যলাভের হার অবস্থা কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে এবং প্রতিটি অবস্থার ক্ষেত্রে তা আলাদা। অধিকাংশ রোগীর সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হতে 3-4 সপ্তাহ লাগে, আবার কিছু-কিছু রোগীর ক্ষেত্রে 2-3 মাস লাগতে পারে। সাধারণত লেজারের মাধ্যমে সার্জারির পর রোগীরা আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ফিরতে পারেন।
অ্যানাল ফিস্টুলার সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলি হল আগে কখনও এই রোগ হওয়া, ক্রোনস রোগ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ট্রমা, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, মলদ্বারের সংক্রমণ বা ফোড়া ইত্যাদি। প্রদত্ত ঝুঁকির কারণগুলি বিদ্যমান এমন রোগীদের ফিস্টুলা তৈরি না হওয়ার ব্যাপারে আরও বেশি যত্ন নেওয়া উচিত।
সার্জারির ব্যাপারে রোগী মনস্থির করলে তাদের সার্জারির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে। অ্যানাল ফিস্টুলার সার্জারির জন্য প্রস্তুতির নিতে যে সকল পরামর্শ আপনি অনুসরণ করতে পারেন তা হল:
সার্জারির পর আরও ভালোভাবে আরোগ্যলাভের জন্য প্রদত্ত পরামর্শগুলি আপনার মেনে চলা উচিত: