বাংলাদেশে প্রিস্টিন কেয়ার-এ উন্নত হার্নিয়ার চিকিৎসা পান
হার্নিয়ার চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হল সার্জারির মাধ্যমে সারানো। প্রিস্টিন কেয়ার-এ আমরা হার্নিয়ার জন্য উন্নত ল্যাপারোস্কোপিক ও প্রচলিত চিকিৎসা প্রদান করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী ও চিকিৎসক উভয়ই ল্যাপারোস্কোপিক কৌশলটি বেছে নেন কারণ এটি নূন্যতম কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে হয় এবং ভালো ফলাফল দেয়। তবে, হার্নিয়ার ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি প্রত্যেক রোগীর জন্য সঠিক বিকল্প নাও হতে পারে। অতএব, আমাদের চিকিৎসকরা রোগীর ভালো করে রোগ নির্ণয় করে তারপর সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
প্রিস্টিন কেয়ারে কী-কী প্রকারের হার্নিয়ার চিকিৎসা হয়?
প্রিস্টিন কেয়ার-এ আমরা উন্মুক্ত বা ল্যাপারোস্কোপিক কৌশলের মাধ্যমে সকল প্রকারের হার্নিয়ার চিকিৎসা প্রদান করি। হার্নিয়ার সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলি হল-
- ইনগুইনাল হার্নিয়া– এটি উরু বা কোমরের উপরের অংশে হয়। হার্নিয়ার প্রায় 75% ঘটনা ইনগুইনাল নালীর সাথে সম্পর্কিত। এই ধরনের হার্নিয়া মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কারণ টেস্টিকলগুলি ইনগুইনাল নালী দিয়ে নেমে আসে।
- ফেমোরাল হার্নিয়া- এই ধরনের হার্নিয়া কুঁচকির ভাঁজের ঠিক নিচে হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায় এবং গর্ভাবস্থা ও সন্তান প্রসবের ফলে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের হার্নিয়ার কারণে খুব দ্রুত জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই কারণেই সাধারণত রোগ নির্ণয়ের পরপরই এর চিকিৎসা করা হয়।
- নাভির হার্নিয়া– অন্ত্রটি নাভির উন্মুক্তভাগের মধ্য দিয়ে ধাক্কা দিতে শুরু করলে এটি ঘটে। এইগুলি শিশু, ছোট বাচ্চা এবং মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নাভির হার্নিয়ার সাধারণত নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রোগের চিকিৎসায় সার্জারির মাধ্যমে সারানোর প্রয়োজন হয়।
- হায়াটাল হার্নিয়া– যখন পাকস্থলীর টিস্যু ডায়াফ্রাম থেকে বুকের গহ্বরে প্রসারিত হয় তখন এটি ঘটে। 50 বছরের বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। এই ধরনের হার্নিয়ার কারণে বুক জ্বালা, তলপেটে অস্বস্তি এবং খাবার ও পানীয় গিলতে অসুবিধা হয়।
- উদরের হার্নিয়া- এটি উদরীয় পৃষ্ঠে একটি স্ফীত অংশ বা কাটা স্থান থেকে সৃষ্টি হয়। এদের ইনসিসনাল হার্নিয়াও বলা হয়, কারণ অতীতে যাদের তলপেটে সার্জারি হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই হার্নিয়া বেশি দেখা যায়।
এই ধরনের হার্নিয়া ছাড়াও আরও কিছু হার্নিয়া আছে যা কম দেখা যায় কিন্তু চিকিৎসার জন্য সবগুলোর সার্জারির প্রয়োজন হয়।
সার্জারির পর হার্নিয়ার পুনরায় হওয়া রোধ করবেন কীভাবে?
ল্যাপারোস্কোপিক হার্নিয়া চিকিৎসার পর এই রোগ পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নগণ্য। এর কারণ হল এই প্রক্রিয়ার সময়ে কেবলমাত্র ছোট চাবির ছিদ্রের আকারের ছেদন করা হয়, যা তলপেটের পেশীর প্রাচীরের অখণ্ডতাকে প্রভাবিত করে না। তবুও বেশিরভাগ হার্নিয়া বিশেষজ্ঞ রোগীদের হার্নিয়া পুনরায় হওয়াকে রোধ করতে নিচের পরামর্শ অনুসরণ করতে বলেন-
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকুন
- আপনার কাশিকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেবেন না
- প্রস্রাব বা বাওয়েল মুভমেন্টের সময়ে চাপ দেবেন না
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন ও পেশী দৃঢ় করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- কঠোর ও পেশীর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টিকারী ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত হবেন না
- পিঠের পেশী নয়, পা ব্যবহার করে ওজন তুলুন
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।