হাইড্রোসিলের বিভিন্ন প্রকারগুলি কী কী?
অনেকেরই মনে হয়, হাইড্রোসিলে আক্রান্ত হলে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে। তবে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে আপনার কোন ধরনের হাইড্রোসিল আছে তার উপর। হাইড্রোসিল মূলত দুই ধরনের:
- কমিউনিকেটিং হাইড্রোসিল– এই ধরনের হাইড্রোসিলে অন্য কিছুর সাথে যোগায়োগ বা পেটের গহ্বরের সাথে মুক্ত চ্যানেল থাকে। সেখানে একটি পাতলা ঝিল্লি থাকে যা ইনগুইনাল ক্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়ে অন্ডকোষে পৌঁছায়। যখন এই ঝিল্লিটি মুক্ত থাকে, পেট থেকে তরলটি অন্ডকোষে যায় এবং সেখানে জমা হতে শুরু করে। এই মুক্ত ঝিল্লিটি একটি হাইড্রোসিল গঠনের পথ প্রসারিত করে এবং হার্নিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- নন-কমিউনিকেটিং হাইড্রোসিল– নন-কমিউনিকেটিং হাইড্রোসিল, নাম থেকেই বোঝা যায়, ঝিল্লি বা ইনগুইনাল ক্যানেলের সাথে যোগ নেই কিন্তু অন্ডকোষের থলিতে অতিরিক্ত তরল উপস্থিত রয়েছে। এই অবস্থা জন্মের সময় থেকেই থাকতে পারে বা অনেক বছর পরে কোনও আপাত কারণ ছাড়াই দেখা দিতে পারে।
একটি কমিউনিকেটিং হাইড্রোসিল ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় তার পরিবর্তে, একটি নন-কমিউনিকেটিং হাইড্রোসিল একই আকারের থাকে বা খুব ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়। একটি কমিউনিকেটিং হাইড্রোসিল আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে এবং জটিলতার দিকে নিয়ে যায়। অতএব এটির সঠিক চিকিৎসা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অত্যন্ত অভিজ্ঞ সার্জনদের হাতে বাংলাদেশে হাইড্রোসিল সার্জারি করান
যখন দীর্ঘদিন ধরে হাইড্রোসিল ঠিক হয় না, তখন ডাক্তার অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারেন। আমাদের কাছে অত্যন্ত অভিজ্ঞ সার্জনদের একটি দল আছে যারা প্রত্যেকেই শংসায়িত এবং ইউরোলজিক্যাল পদ্ধতিতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। আমাদের চিকিৎসকরা রোগীদের এমন একটি পরিবেশ প্রদান করেন যেখানে তারা তাদের সন্দেহ ও উদ্বেগের বিষয়গুলি খুলে বলতে পারেন এবং নির্দ্বিধায় তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন।
সহানুভূতিপরায়ণ ও সহমর্মী হওয়ার কারণে, আমাদের ডাক্তাররা রোগীর চাহিদাগুলি শোনেন এবং আশ্বাস দেন যে অস্ত্রোপচার নিরাপদ হবে। যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং রোগীদের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার পরই তারা চিকিৎসার কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। আমাদের ডাক্তাররা অত্যন্ত যত্ন সহকারে অস্ত্রোপচার করেন এবং রোগীকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করার জন্য একটি নিরাময় পরিকল্পনাও তৈরি করেন।
প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশে ঝামেলা-মুক্ত হাইড্রোসিল চিকিৎসা প্রদান করে
প্রিস্টিন কেয়ার-এর লক্ষ্য হল রোগীদের অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতাকে সব দিক থেকে সহজতর করা। তাই, চিকিৎসা যাত্রাকে আরামদায়ক ও ঝামেলামুক্ত করতে আমরা প্রতিটি পদক্ষেপে রোগীকে সহায়তা করি।
- আমরা ডাক্তারের পরামর্শের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করি।
- আমরা কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই হাসপাতালে থাকার জন্য একটি ডিলাক্স রুম প্রদান করি।
- আমরা বিনামূল্যে সার্জারি পরবর্তী যত্ন, পুনরুদ্ধারের টিপস ও ফলো-আপ প্রদান করি।
- আমরা বহুল প্রচলিত ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের পেমেন্টের বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করি।
- আমরা ক্যাশলেস পেমেন্ট ও নো-কস্ট EMI পরিষেবার সাহায্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করি।
এই সমস্ত পরিষেবাগুলির সাথে, আমাদের লক্ষ্য হল রোগীর সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার পথে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করা। আপনি যদি বাংলাদেশের মধ্যে হাইড্রোসিল চিকিৎসার খোঁজ করেন, তাহলে প্রিস্টিন কেয়ার-এ যোগাযোগ করুন।