Select City Sidebar Icon
শহর নির্বাচন করুন
শহর নির্বাচন করুন
phone icon in white color

Call Us

Book Appointment

বাংলাদেশে জরায়ু অপসারণ সার্জারির জন্য সেরা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র

প্রিস্টিন কেয়ার হল বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য সার্জারি প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম। সাশ্রয়ী মূল্যে সকল রোগীদেরকে নিরবচ্ছিন্ন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করাই হল আমাদের লক্ষ্য। আমরা জরায়ু অপসারণ সহ উন্নত চিকিৎসা এবং বিভিন্ন স্ত্রীরোগ সার্জারির পরিষেবা প্রদান করে থাকি। বাংলাদেশে জরায়ু অপসারণ সার্জারির জন্য প্রিস্টিন কেয়ারকে বেছে নেওয়ার কিছু কারণ নীচে তালিকাভুক্ত করা হল।

  • আমাদের শীর্ষ মহিলা স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিনামূল্যে পরামর্শ করার সুযোগ। আমাদের কেয়ার কোঅর্ডিনেটররা আমাদের স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞদের সাথে আপনার বিনামূল্যে পরামর্শের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করবেন, যারা আপনার লক্ষণগুলি বুঝতে পারবেন এবং প্রক্রিয়াটির আগে আপনার অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন।
  • যাতায়াত প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য আমরা প্রক্রিয়ার দিন বিনামূল্যে পরিবহন পরিষেবা প্রদান করে থাকি।
  • আমরা রোগীদেরকে বিনামূল্যে একাধিক ফলো-আপ পরামর্শ প্রদান করে থাকি।
  • সমগ্র চিকিৎসা পদ্ধতি জুড়ে আপনাকে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর থাকবে।
  • আমরা সার্টিফায়েড ও শীর্ষ-শ্রেণীর গাইনি ক্লিনিক এবং সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও পরিকাঠামো সহ হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যুক্ত।
  • আপনার চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ে সহায়তা করার জন্য আমরা নগদ, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, চেক ইত্যাদি সহ একাধিক পেমেন্ট বিকল্প সহ নো কস্ট ইএমআই পরিষেবা প্রদান করে থাকি।
  • সম্পূর্ণ বিমা ক্লেম পদ্ধতি বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করার জন্য আমাদের একটি নিবেদিতপ্রাণ বিমা টিম রয়েছে।
  • আমরা চিকিৎসার সময় 100% গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত সত্ত্বা রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকি।

সংক্ষেপে

know-more-about-Hysterectomy-treatment-in-
জরায়ু অপসারণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • যোনিতে শুষ্ক ভাব
  • কামশক্তি হ্রাস
  • ঘুমের ব্যাঘাত
  • গরম অনুভূতি
জরায়ু অপসারণের জটিলতাগুলি
  • রক্ত জমাট বাধা
  • মারাত্মক সংক্রমণ
  • রক্তপাত
  • আন্ত্রিক ব্লকেজ
কেন আমার জরায়ু অপসারণ সার্জারি করা প্রয়োজন?
  • মারাত্মক পিরিয়ড
  • দীর্ঘমেয়াদী পেলভিক ব্যথা
  • নন -ক্যান্সার টিউমার
জরায়ু অপসারণ সার্জারির পর শারীরিক পরিবর্তন
  • ওজন বৃদ্ধি না হওয়া
  • সহবাসে অসুবিধা
  • মূত্রাশয়ের সমস্যা বেড়ে যায়
function at() { [native code] }

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

জরায়ু অপসারণ সার্জারির আগে রোগ নির্ণয়

জরায়ু অপসারণ সার্জারির আগে, অন্তর্নিহিত কারণ শনাক্ত করার জন্য এবং অবস্থার তীব্রতা বোঝার জন্য ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করা হতে পারে। কিছু সাধারণ পরীক্ষা যা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করে থাকেন এর মধ্যে রয়েছে:

  • রক্ত পরীক্ষা: পলিপ, ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদির বৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে এমন কোনো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা অন্যান্য চিকিৎসা পরিস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য ব্লাড টেস্ট করা যেতে পারে।
  • হিস্টেরোস্কোপি: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা যেখানে একটি ক্যামেরা সহ একটি পাতলা, নমনীয় নল (হিস্টেরোস্কোপ) জরায়ুর মধ্যে সারভিক্স দিয়ে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসক জরায়ুর ভেতরের অংশ পরীক্ষা করে যে কোনো পলিপ, ফাইব্রয়েড বা অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে পারেন।
  • আলট্রাসাউন্ড:  এটি একটি নন-ইনভেসিভ ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা যেখানে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে জরায়ু এবং তার পার্শ্ববর্তী অঙ্গগুলির ছবি নেওয়া হয়ে থাকে। আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে শরীরের অন্তর্নিহিত অবস্থা শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • বায়োপসি: ক্যান্সার বা অন্যান্য অস্বাভাবিক কোষের কোনো লক্ষণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য টিস্যুর নমুনা নেওয়া যেতে পারে।

ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা ক্ষেত্রবিশেষে এবং পদ্ধতি সম্পাদনকারী ডাক্তারের পছন্দের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের সাথে কোনো উদ্বেগ বা প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্য তাদের সুপারিশ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন জরায়ু অপসারণ সার্জারি পদ্ধতি

জরায়ু অপসারণ, যা হিস্টেরেক্টমি নামেও পরিচিত, হল এমন একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যাতে জরায়ুর বিভিন্ন অংশ অপসারণ করা হয়। জরায়ু অপসারণের অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • অ্যাবডমিনাল হিস্টেরেকটমি: এটি সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি এবং জরায়ু অপসারণের জন্য এক্ষেত্রে পেটে একটি বড় ছিদ্র করা হয়ে থাকে।
  • ভ্যাজাইনাল হিস্টেরেকটমি: এই পদ্ধতিতে জরায়ু অপসারণের জন্য যোনিতে একটি ছেদ করা হয়ে থাকে।
  • ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেক্টমি: এই মিনিমালি ইনভেসিভ পদ্ধতির মাধ্যমে পেটে বেশ কয়েকটি ছোট ছিদ্র তৈরি করা হয়ে থাকে এবং একটি ল্যাপারোস্কোপ (ক্যামেরা সহ একটি পাতলা, আলোযুক্ত টিউব) ব্যবহার করে জরায়ু অপসারণ করা হয়ে থাকে।
  • রোবট-সহায়ক হিস্টেরেকটমি: এটি এক ধরনের ল্যাপরোস্কপিক হিস্টেরেকটমি, যেখানে সার্জন একটি রোবটিক সিস্টেম ব্যবহার করে সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

জরায়ু অপসারণ সার্জারির জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করব

জরায়ু অপসারণ সার্জারির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য এখানে উল্লেখ করা কিছু পরামর্শ অনুসরণ করুন:

  • আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন: জরায়ু অপসারণ সার্জারির আগে, আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের সাথে পদ্ধতিটি সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত এবং আপনার যে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা জিজ্ঞাসা করা উচিত। আপনার স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী পদ্ধতিটির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি ব্যাখ্যা করবেন এবং কোন পদ্ধতিটি আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করবে।
  • চিকিৎসা সংক্রান্ত মূল্যায়ন: আপনি এই পদ্ধতির জন্য সঠিক প্রার্থী কিনা তা নির্ধারণ করতে সম্ভবত আপনাকে একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তার মধ্যে ব্লাড টেস্ট, ইমেজিং পরীক্ষা এবং শারীরিক পরীক্ষা থাকতে পারে।
  • প্রাক-অপারেশন প্রস্তুতি: আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী আপনাকে নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী প্রদান করতে পারে যা প্রক্রিয়াটির আগে আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উপবাস, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা এবং আপনার অন্ত্র প্রস্তুত করার মতো বিষয়গুলি থাকতে পারে।
  • সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য পরিকল্পনা:  অস্ত্রোপচারের পর, সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে। এর মধ্যে বাড়িতে সাহায্যের ব্যবস্থা করা, কাজের থেকে ছুটি নেওয়া এবং শিশুর যত্ন বা পরিবারের দায়িত্বের জন্য পরিকল্পনা করার মতো বিষয়গুলি  থাকতে পারে।
  • লাইফস্টাইল সমন্বয়: হিস্টেরেকটমির কারণের উপর নির্ভর করে, আপনাকে এই পদ্ধতির পরে কিছু লাইফস্টাইল সমন্বয় করতে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে হয়তো নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য ভারি উত্তোলন অথবা কঠোর পরিশ্রম করা এড়িয়ে চলতে হবে।

আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের নির্দেশাবলী সতর্কতার সাথে অনুসরণ করা এবং পদ্ধতি বা সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তা জিজ্ঞাসা করা গুরুত্বপূর্ণ।

জরায়ু অপসারণ সার্জারির উপকারিতা

হিস্টেরেকটমির উপকারিতা চিকিৎসার নির্দিষ্ট অবস্থা এবং ব্যক্তিগত অবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে। হিস্টেরেকটমির কিছু সম্ভাব্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে:

  • উপসর্গ থেকে মুক্তি: জরায়ু অপসারণ সার্জারির মাধ্যমে  মাসিকের সময় অত্যধিক রক্তক্ষরণ, পেলভিকে ব্যথা ও জরায়ুর প্রোল্যাপস-এর মতো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • কিছু বিশেষ রোগের চিকিৎসা: জরায়ুর ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিওসিস এবং কিছু ধরনের ক্যান্সারের মতো কিছু চিকিৎসাগত অবস্থার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরায়ু অপসারণ সার্জারির জন্য সুপারিশ করা যেতে পারে।
  • কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস: জরায়ু অপসারণ সার্জারি জরায়ুর ক্যান্সার ও অন্যান্য গুরুতর অবস্থার ক্ষেত্রে ঝুঁকি দূর করতে সাহায্য করে।
  • জীবনযাত্রার মান উন্নত করা: উপসর্গ থেকে মুক্তি এবং চিকিৎসাজনিত অবস্থার মূল্যায়ন কিছু মহিলাদের জন্য উন্নত মানের জীবনযাত্রার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

কেন প্রিস্টিন কেয়ার?

বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে

01.

সারা বাংলাদেশে ৫০ + রোগের জন্য পরামর্শ পান

প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

02.

প্রযুক্তির সাথে চিকিৎসা দক্ষতা

আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।

03.

অভিজ্ঞ সার্জারি সহায়ক

একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।

04.

সার্জারির পরের যত্ন

We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

জরায়ু অপসারণের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠতে কত সময় লাগতে পারে?

সার্জারির পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে 6 থেকে 8 সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে, জরায়ু অপসারণ সার্জারির ধরন অনুযায়ী সুস্থ হয়ে ওঠার সময়কাল আলাদা হতে পারে।

জরায়ু অপসারণের সার্জারির পর আমাকে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?

জরায়ু অপসারণ সার্জারির পরে আরোগ্য লাভের জন্য আপনাকে অবশ্যই যে যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেগুলি হল নিম্নলিখিত:

  • কমপক্ষে 6 সপ্তাহের জন্য যৌন কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন
  • কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন
  • ভারী কিছু তোলা থেকে বিরত থাকুন
  • সাঁতার কাটা থেকে বিরত থাকুন
  • গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলুন

জরায়ু অপসারণ সার্জারির পর সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য কী কী খাবেন?

জরায়ু অপসারণ সার্জারির পর সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য আপনাকে যে খাবারগুলি অবশ্যই খেতে হবে তার একটি তালিকা এখানে দেওয়া হল:

  • দুগ্ধজাত পণ্য
  • স্মুথি এবং শেক
  • টাটকা ফল ও সবজি
  • পুরো শস্যদানা দিয়ে তৈরি খাবার
  • উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার

জরায়ু অপসারণ সার্জারির জটিলতা

সাধারণত জরায়ু অপসারণ সার্জারি নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে অন্যান্য সার্জারি পদ্ধতির মতো এক্ষেত্রেও কিছু ঝুঁকি ও সম্ভাব্য জটিলতা রয়েছে। জরায়ু অপসারণের কিছু জটিলতার মধ্যে রয়েছে:

  • রক্তক্ষরণ: সার্জারির সময় বা পরে অতিরিক্ত রক্তপাত হল হিস্টেরেকটমির সম্ভাব্য জটিলতাগুলির মধ্যে একটি।
  • সংক্রমণ: যে কোনো সার্জারির মতো এক্ষেত্রেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। সংক্রমণের লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর, সর্দি এবং ব্যথা বৃদ্ধি বা কাটা জায়গায় লাল হওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
  • নিকটবর্তী অঙ্গে আঘাত: সার্জারির সময়, নিকটবর্তী অঙ্গ যেমন মূত্রাশয়, ইউরেটার বা মলদ্বারে আঘাত লাগতে পারে। এর ফলে রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ বা অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।
  • ব্লাড ক্লট: হিস্টেরেকটমি করলে পায়ে ব্লাড ক্লট করার আশঙ্কা বেড়ে যায়, যা ফুসফুসে যেতে পারে এবং তার থেকে পালমোনারি এমবোলিজম হতে পারে।
  • সময়ের আগে মেনোপজ: হিস্টেরেকটমির সময় যদি ডিম্বাশয় বের করে দেওয়া হয়, তাহলে তা হট ফ্ল্যাশ, রাত্রিকালীন স্বেদ ও যোনি শুষ্কতার মতো উপসর্গ সহ তাৎক্ষণিক মেনোপজের কারণ হতে পারে।
  • প্রস্রাব অসংযম: হিস্টেরেকটমি করলে প্রস্রাবের ক্ষেত্রে অসংযম বা প্রস্রাব করতে অসুবিধা হতে পারে, বিশেষ করে যদি অস্ত্রোপচারের সময় মূত্রাশয় বা মূত্রনালীতে আঘাত লেগে থাকে।
  • যৌন কর্মে অনীহা: কোনো কোনো নারীর হিস্টেরেকটমির পর যৌন মিলনের সময় যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে বা অস্বস্তি বোধ করতে পারে।

উল্লেখ্যোগ্য যে, জরায়ু অপসারণের সার্জারির ধরন, নারীর বয়স ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে প্রতি ক্ষেত্রে জটিলতার ঝুঁকি পরিবর্তিত হয়। জরায়ু অপসারণ সার্জারির কথা বিবেচনা করা মহিলাদের তাদের চিকিৎসকের সাথে এই পদ্ধতির সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং উপকারিতা বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।

জরায়ু অপসারণ সার্জারির আগে আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞকে যেসব প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করা উচিত সেগুলি হল

আপনি যদি জরায়ু অপসারণ সার্জারি করানোর কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের সাথে প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ তার ফলে আপনি নিশ্চিত হন যে আপনার কাছে সমস্ত প্রকার তথ্য রয়েছে যা আপনাকে একটি অবহিত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞকে করা যেতে পারে এমন কিছু প্রশ্ন এখানে দেওয়া হল:

  • কেন আমার অবস্থার জন্য জরায়ু অপসারণ সার্জারি সুপারিশ করা হল?
  • জরায়ু অপসারণ সার্জারির ক্ষেত্রে কী কী ঝুঁকি ও উপকারিতা রয়েছে?
  • জরায়ু অপসারণ সার্জারির অন্য বিকল্প কী রয়েছে?
  • জরায়ু অপসারণ সার্জারির বিভিন্ন ধরন কী কী?
  • সার্জারির সময় আমি কী আশা করতে পারি এবং এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে কত সময় লাগবে?
  • কোন ধরনের অ্যানেস্থেশিয়া ব্যবহার করা হবে এবং প্রত্যেক ধরনের ক্ষেত্রে কী কী ঝুঁকি ও উপকারিতা রয়েছে?
  • আমাকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে এবং সুস্থ হয়ে উঠতে কত সময় লাগবে?
  • জরায়ু অপসারণ সার্জারির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী জটিলতাগুলো কী কী এবং তাদের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
  • জরায়ু অপসারণ সার্জারির ক্ষেত্রে সাফল্যের হার কত?

এই প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি সম্পূর্ণরূপে বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ আপনাকে আপনার প্রশ্নের স্পষ্ট এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনাকে আপনার চিকিৎসার বিকল্পগুলি সম্পর্কে একটি অবহিত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

Read More