phone icon in white color

Call Us

Book Appointment

সিলেট অ্যানাল ফিস্টুলার সার্জারি

অ্যানাল ফিস্টুলা হল পায়ুপথের নালী ও পেরিয়ানাল ত্বকের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক চ্যানেল। সাধারণত পায়ুদ্বারের চারপাশে বিভিন্ন গ্রন্থি থাকে যা মিউকাস নিঃসরণ করে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে। তবে এই দ্বার আক্রান্ত হলে বা জমাট বেঁধে গেলে ফোড়া তৈরি হতে পারে। যদি ফোড়ার চিকিৎসা না করা হয় বা সঠিকভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে এটি ফিস্টুলাতে পরিণত হতে পারে।
প্রিস্টিন কেয়ার-এ অ্যানাল ফিস্টুলার ত্রুটিহীন চিকিৎসা প্রদানে সাহায্য করে এমন উন্নত প্রযুক্তি সহ ক্লিনিক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির একটি বড় সার্জিকাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এছাড়াও, আমরা আমাদের বিশেষ কেয়ার কোঅর্ডিনেটরের মাধ্যমে সকল রোগীদের নির্বিঘ্নে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকি। আমাদের কেয়ার কোঅর্ডিনেটররা চিকিৎসার আপডেট দিতে রোগীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখেন। এছাড়াও আমাদের একটি বিশেষ পেশেন্ট কেয়ার অ্যাপ রয়েছে যেখানে আপনি রিয়েল-টাইম আপডেট, ডকুমেন্টেশন এবং বিমাকরণে সহায়তা ইত্যাদি পাবেন।
সিলেট বিশেষজ্ঞ কোলোরেক্টাল সার্জনের কাছ থেকে অ্যানাল পেইন ও অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

ওভারভিউ

know-more-about-Anal Fistula-treatment-in-Sylhet
অ্যানাল ফিস্টুলার কারণ
  • পায়ুপথের ফোড়ার চিকিৎসা না করা
  • যৌনবাহিত রোগসমূহ
  • চলমান বাওয়েল মুভমেন্টের সমস্যা
  • যক্ষ্মা
অ্যানাল ফিস্টুলার উপসর্গ
  • পায়ুপথের অঞ্চলে যন্ত্রণা, লালচে ভাব ও ফুলে যাওয়া
  • পায়ুপথে রক্তক্ষরণ
  • মলে রক্ত বা ব্লাড ক্লট
  • জ্বর
  • পায়ুপথে পুঁজ ও স্রাব
লেজার ফিস্টুলোটোমির সুবিধা
  • স্বল্প ও ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে সার্জারি
  • ডেকেয়ার-এ যন্ত্রণাহীন সার্জারি
  • সার্জারির পর কম সংখ্যক জটিলতা
  • দ্রুত আরোগ্যলাভ
  • পুনরায় ঘটার কম হার
অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসা না করার ফলে সৃষ্ট জটিলতা
  • পায়ুপথে যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণ
  • মল বা মূত্রের অসংযম
  • ত্বকে সংক্রমণ
  • সেলুলাইটিস
  • সেপসিস
  • মলদ্বারের ক্যান্সার
function at() { [native code] }

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

রোগ নির্ণয়

শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলা নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসক পায়ুদ্বার পরীক্ষা করবেন ও ফিস্টুলা ট্র্যাক্ট খুঁজবেন। ফিস্টুলার উপস্থিতির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা এর গভীরতা, অভিমুখ এবং উন্মুক্ত স্থানের সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। ফিস্টুলা নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু সাধারণ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা:

  • অ্যানোস্কোপি: অ্যানোস্কোপি হল পায়ুপথের নালী ও মলদ্বারের পরীক্ষা, যেখানে অ্যানোস্কোপ ব্যবহার করে পায়ুপথ ও মলদ্বারের অবস্থা নির্ণয় করা হয়।
  • আল্ট্রাসাউন্ড বা MRI: MRI ও আল্ট্রাসাউন্ডের মতো ইমেজিং টেস্ট, যার সাহায্যে রোগীকে কোনও ব্যথা না দিয়ে অ্যানোরেক্টাল অঞ্চলের আরও ভালো ছবি পাওয়া যায়।
  • কোলোনোস্কোপি: স্বল্প সিডেশন বা অ্যানেস্থেশিয়া করে কোলোনোস্কোপি করা হয়। স্কোপটিকে পায়ুপথের মাধ্যমে কোলনের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। এটি সাধারণত বৃহদন্ত্রে স্ফীত টিস্যু, পলিপ, ক্যান্সার ইত্যাদি পরীক্ষা করার জন্য করা হয়।
  • ফেকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট (FOBT) এবং অন্যান্য রক্ত পরীক্ষা: মলের মধ্যে রক্ত খুঁজতে ও সেই রক্তের পরীক্ষার জন্য FOBT করা হয়। অন্যান্য রক্ত পরীক্ষা, যেমন সম্পূর্ণ ব্লাড কাউন্ট, গ্লুকোজের মাত্রা ইত্যাদিও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

চিকিৎসা

ওষুধের মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসা করা যায় না এবং চিকিৎসার জন্য সার্জারি প্রায় সব সময়ই প্রয়োজন। চিকিৎসার লক্ষ্য হল মলের অসংযম দূর করতে নালীটিকে বন্ধ করা। প্রিস্টিন কেয়ার-এ আপনি অ্যানাল ফিস্টুলার নিম্নলিখিত চিকিৎসা পেতে পারেন:

  • ওপেন ফিস্টুলোটোমি: সার্জারির সময়ে সার্জন ফিস্টুলা নালীর পার্শ্ব কেটে সংক্রামিত রক্ত ও পুঁজ বের করে সংক্রামিত অংশগুলিকে বাদ দেন। এরপর সেই কাটা স্থানকে পুনরায় সেলাই করা হয়, ব্যান্ডেজ বাঁধা হয় ও নিয়াময়ের জন্য রেখে দেওয়া হয়। যেহেতু ফিসচুলাকে সম্পূর্ণরূপে অপসারিত করা হয় না, তাই পায়ুপথের স্ফিংটারের ক্ষতি এড়ানো যায়।
  • লেজার ফিসচুলোটমি: লেজার ফিস্টুলা সার্জারি হল অ্যানাল ফিস্টুলার জন্য একটি আরও কম ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে করা সার্জারি। রক্ত, পুঁজ ও সংক্রামিত টিস্যু অপসারণের জন্য ফিস্টুলা পরিষ্কার করা হয়। এর পর ধীরে-ধীরে ফিস্টুলার নালী বন্ধ করতে ফিস্টুলাতে লেজার প্রোব প্রবেশ করানো হয়।
    উভয় সার্জারিই স্থানীয় অ্যানেস্থেশিয়ার মাধ্যমে করা হয়।

এগুলি হল ডেকেয়ার সার্জারি। সিলেট সেরা অর্শ্বরোগের হাসপাতালে উন্নত অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসা পেতে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।

কেন প্রিস্টিন কেয়ার?

বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে

01.

সারা বাংলাদেশে ৫০ + রোগের জন্য পরামর্শ পান

প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

02.

প্রযুক্তির সাথে চিকিৎসা দক্ষতা

আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।

03.

অভিজ্ঞ সার্জারি সহায়ক

একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।

04.

সার্জারির পরের যত্ন

We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

অ্যানাল ফিস্টুলা গঠনকে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অর্থাৎ সঠিক সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলা গঠনকে প্রতিরোধ করতে পারেন। আপনার পায়ু অঞ্চলে শুষ্কতা বজায় রাখা উচিত এবং মলের পায়ুপথ অতিক্রম করার সময় চাপ দেওয়া বন্ধ করা উচিত।

সিলেটে ফিস্টুলা অপারেশনের খরচ কত?

সিলেটে ফিস্টুলা লেজার অপারেশনের খরচ একেক জনের জন্য একেক রকম হতে পারে। গড়ে, সিলেটে ফিস্টুলা সার্জারির খরচ প্রায় ৳ 45,000 থেকে ৳ 60,000 এর মধ্যে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, ফিস্টুলা লেজার অপারেশন খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করবে যেমন সার্জারির ধরন, সার্জিক্যাল কেয়ার প্রয়োজন ইত্যাদি।

ফিস্টুলার চিকিৎসা কি ওষুধ দিয়ে করা যায়?

তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে, অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধের মাধ্যমে ফিস্টুলা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, তবে ফিস্টুলা নালীকে পুরোপুরি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হল সার্জারি। গুরুতর পরিস্থিতিতে এটি একটি জরুরি অবস্থায় পরিণত হতে পারে।

সার্জারির পর অ্যানাল ফিস্টুলা হওয়ার সম্ভাবনা কতটা

সাধারণত ফিস্টুলা পুনরায় ঘটার হার খুব বেশি (প্রায় 50%) হয়, বিশেষ করে যে সকল রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পান না, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। গুরুতর ফিস্টুলা পুনরায় হওয়া থেকে বাঁচতে উপসর্গ দেখানো শুরু করার সাথে-সাথেই অ্যানোরেক্টাল চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।

ফিস্টুলোটোমির সাফল্যের হার কত?

অ্যানাল ফিস্টুলার অন্যতম সবচেয়ে কার্যকর ও সফল চিকিৎসা হল ওপেন ফিস্টুলোটোমি, যেখানে সাফল্যের হার 87-94%। লেজার সার্জারি তুলনামুলকভাবে নিরাপদ এবং লেজার ফিসচুলোটোমির সাফল্যের হার প্রায় 95-99% হয়।

লেজারের মাধ্যমে ফিস্টুলা সার্জারি থেকে সুস্থ হতে কত সময় লাগে?

ফিস্টুলোটোমির পরে আরোগ্যলাভের হার অবস্থা কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে এবং প্রতিটি অবস্থার ক্ষেত্রে তা আলাদা। অধিকাংশ রোগীর সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হতে 3-4 সপ্তাহ লাগে, আবার কিছু-কিছু রোগীর ক্ষেত্রে 2-3 মাস লাগতে পারে। সাধারণত লেজারের মাধ্যমে সার্জারির পর রোগীরা আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ফিরতে পারেন।

অ্যানাল ফিস্টুলার ঝুঁকির কারণ কী-কী?

অ্যানাল ফিস্টুলার সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলি হল আগে কখনও এই রোগ হওয়া, ক্রোনস রোগ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ট্রমা, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, মলদ্বারের সংক্রমণ বা ফোড়া ইত্যাদি। প্রদত্ত ঝুঁকির কারণগুলি বিদ্যমান এমন রোগীদের ফিস্টুলা তৈরি না হওয়ার ব্যাপারে আরও বেশি যত্ন নেওয়া উচিত।

অ্যানাল ফিস্টুলার সার্জারির জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

সার্জারির ব্যাপারে রোগী মনস্থির করলে তাদের সার্জারির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে। অ্যানাল ফিস্টুলার সার্জারির জন্য প্রস্তুতির নিতে যে সকল পরামর্শ আপনি অনুসরণ করতে পারেন তা হল:

  • ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, যাতে সহজেই তা বদলাতে পারেন। সার্জারির জন্য হাসপাতালে গেলে কোনও কসমেটিক্স বা গয়না পরবেন না।
  • সার্জারির আগের দিন মধ্যরাতের পর কিছু খাবেন না। যদি আপনাকে কোনও ওষুধ খেতে হয়, তবে সামান্য জল দিয়ে তা খান।
  • আপনার পেট খালি করতে এবং সার্জারির জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করার জন্য আপনার হয়তো একটি এনেমার প্রয়োজন হতে পারে।
  • আপনি যদি কোনও অ্যান্টিকোয়েগুল্যান্ট বা NSAID নেন, তবে সার্জারির প্রায় দুই দিন আগে আপনাকে তা নেওয়া বন্ধ করতে হতে পারে।
  • ধূমপানের ফলে রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যায় ও নিরাময় প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, তাই সার্জারির আগে ধূমপান বন্ধ করা উচিত।
  • হাসপাতালে ভর্তির জন্য আপনার আগের রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসুন।

অ্যানাল ফিস্টুলার সার্জারির পর কীভাবে আরও ভালোভাবে আরোগ্যলাভ করা যায়?

সার্জারির পর আরও ভালোভাবে আরোগ্যলাভের জন্য প্রদত্ত পরামর্শগুলি আপনার মেনে চলা উচিত:

  • যথাযথ বিশ্রাম নিন। কাজের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত আপনার শরীরের উপর চাপ দেবেন না বা কাজে ফিরবেন না।
  • বাওয়েল মুভমেন্ট হওয়া কঠিন হতে পারে কিন্তু তা এড়িয়ে না চলা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • প্রচুর জল পান করুন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, যাতে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়ে ও বাওয়েল মুভমেন্ট সহজে হয়। যদি এর ফলে আপনার কোনও লাভ না হয়, তবে আপনি মল নরম করার ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
  • বাওয়েল মুভমেন্টের পর একটু ব্যথা ও রক্তক্ষরণ হওয়া স্বাভাবিক, তবে যদি খুব বেশি ব্যথা বা রক্তক্ষরণ হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • বাওয়েল মুভমেন্টের পর মোছার জন্য টয়লেট পেপারের বদলে ভেজা ওয়াইপ বা কাপড় ব্যবহার করুন।
  • কাটাছেঁড়ার পর যদি কোনও ক্ষরণ হয়, তবে তা শুষে নেওয়ার জন্য প্যাড বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারেন।
  • সার্জারির পর ফোলা কমাতে সিটজ বাথ নিন বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন।
Read More