phone icon in white color

Call Us

Book Appointment

সিলেটে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার সেরা সার্জিক্যাল চিকিৎসা সরবরাহকারী

প্রিস্টিন কেয়ার সিলেটে একটি স্পেশালাইজড হেলথকেয়ার সেন্টার, যা সর্বোত্তম ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সার্জিক্যাল চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আমাদের ট্রিটমেন্ট সেন্টারগুলিতে আমরা রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্যের উন্নতি এবং নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজড পরিবেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। সেরা পরিষেবা দিতে ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উচ্চ মান বজায় রাখতে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত সার্জিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক টুল ব্যবহার করি।

সর্বোত্তম উপায়ে হার্নিয়া নিরাময় করতে আমাদের ডাক্তাররা কার্যকরি হিসাবে প্রমাণিত ওপেন টেকনিক এবং অত্যাধুনিক ল্যাপারোস্কোপিক টেকনিক উভয় ক্ষেত্রেই পারদর্শী। এছাড়াও আমরা মেশ সম্পর্কিত জটিলতার সম্ভাবনা কমাতে প্রিমিয়াম হার্নিয়া মেশ ব্যবহার নিশ্চিত করি। আমরা আমাদের রোগীদের স্বতন্ত্রভাবে পরিষেবা দিয়ে থাকি এবং আমরা তাদের চিকিৎসার পুরো সময় জুড়ে তাদের সমর্থন করে চলি।

সিলেটে প্রিস্টিন কেয়ারকে বেছে নেয়ার আরও কিছু কারণ এখানে তুলে ধরা হলো:

  • আমরা আপনার এলাকায় উপস্থিত সেরা ল্যাপারোস্কোপিক সার্জনের সাথে বিনামূল্যে পরামর্শ ও ফলো-আপ সেশনের সুযোগ দিয়ে থাকি। 
  • হাসপাতালে ভর্তির সময় আমরা বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করি
  • আমরা সার্জারির দিন রোগীকে বিনামূল্যে ক্যাব পরিষেবা দিয়ে থাকি
  • আমরা সম্পূর্ণ বিমা সহায়তা দিয়ে থাকি
  • আমরা প্রত্যেক রোগীকে তাদের পুরো চিকিৎসা যাত্রায় সহায়তা করতে একজন নিবেদিত কেয়ার কোঅর্ডিনেটরের ব্যবস্থা করি।
  • আমরা সিলেটে সবচেয়ে ভালো ও সুসজ্জিত হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকি।

তাই সন্দেহজনক আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে দেরি করবেন না। প্রিস্টিন কেয়ার-এর সাথে যোগাযোগ করে আজই আপনার ফ্রি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন

সারাংশ

know-more-about-Umbilical Hernia-treatment-in-Sylhet
আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার কারণ
  • ভারী ভারোত্তোলন
  • দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা হাঁচি
  • একাধিকবার গর্ভধারণ
  • দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা
আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার লক্ষণ
  • নাভির কাছের অংশে হালকা ফোলাভাব বা স্ফীত অংশ
  • ব্যথা
  • বমি হওয়া
  • ফোলাভাব
  • ত্বকের বিবর্ণতা
আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • মূত্রাশয়ে সংক্রমণ
  • ইনসিশনের অংশে সংক্রমণ
  • কুঁচকিতে ব্যথা
  • যৌন অক্ষমতা
আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি ও জটিলতা
  • ইনসিশনের জায়গায় রক্তক্ষরণ
  • রক্তক্ষরণ
  • ব্যথা
  • ক্ষতস্থানে ছিদ্র হওয়া
  • আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার পুনরাবৃত্তি
function at() { [native code] }

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

রোগনির্ণয়

ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখবেন যে স্ফীত অংশটি আদতে হার্নিয়া কিনা। সঠিক নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার সুপারিশ করা হয়:

  • অ্যাবডোমেন ও পেলভিক অর্গ্যানের স্পষ্ট ছবি পেতে, পেটের আলট্রাসাউন্ড করা হয়।
  • হার্নিয়েটেড টিস্যুতে প্রদাহ ও ফোলাভাব আছে কিনা, তা জানতে সিটি  স্ক্যান করা হয়।
  • আটকে থাকা বা বাধাপ্রাপ্ত অঙ্গ ও টিস্যু শনাক্তকরণের জন্য এমআরআই স্ক্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অ্যাবডোমেনের ছবি পেতে এবং হার্নিয়া উপশমের সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি নির্ধারণ করতে এক্স-রে করা হয়।

উপরে যে টেস্টগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি সবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই টেস্টগুলির ফলাফল হার্নিয়ার চিকিৎসার সর্বোত্তম কর্মপন্থা নির্ধারণে সহায়তা করে।

সার্জারি

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া বাদ দিতে দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:

  • ওপেন হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারি: ওপেন হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির সময় পেটের আক্রান্ত স্থানে একটি ইনসিশন করা হয় এবং তারপর হার্নিয়াটিকে আবার আগের জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়। পেটের ভিতরের ত্বকের দুর্বল স্থানটি তখন সেটির কাছাকাছি পেশী সেলাই করে বা মেশ প্যাচ দিয়ে ঢেকে শক্তিশালী করা হয়। সাধারণত জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়ার মাধ্যমে ওপেন হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারি করা হয় এবং এটি কয়েক ঘন্টা সময় নিতে পারে। বেশিরভাগ রোগী এই প্রক্রিয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারেন, যদিও রোগী ও সার্জারির ব্যপ্তির উপর নির্ভর করে সুস্থ হওয়ার সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
  • ল্যাপারোস্কোপিক হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারি: ল্যাপারোস্কোপিক হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারি নামে একটি ন্যূনতম কাটা ছেঁড়ার মাধ্যমে করা সার্জারি পদ্ধতির সাহায্যে হার্নিয়া বাদ দেওয়া যেতে পারে। সার্জেন যাতে হার্নিয়া দেখতে পারেন, সে জন্য ল্যাপারোস্কোপ নামে একটি ক্যামেরা ও আলো যুক্ত একটি পাতলা টিউব প্রক্রিয়া চলাকালীন তৈরি করা ছোটো ছিদ্রগুলির মধ্যে একটির মাধ্যমে ঢোকানো হয়। সার্জনের সাহায্যে কী-হোলের মাধ্যমে প্রবেশ করানো ছোটো যন্ত্র ব্যবহার করে পেটের ভিতর থেকে হার্নিয়া বাদ দেওয়া হয়।

ওপেন হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির তুলনায় ল্যাপারোস্কোপিক হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেমন- স্বল্প সময় হাসপাতালে থাকা, কম ব্যথা, দ্রুত আরোগ্য লাভ ইত্যাদি। তবে এরপরেও সব রোগীর জন্য এটি ভালো নাও হতে পারে, কিছু রোগীর হার্নিয়া নিরাময় করতে ওপেন সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন?

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির এটি থেকে নিরাময় পেতে হলে তার চিকিৎসকের প্রস্তাবিত পরামর্শ মেনে চলা উচিত। আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া উপশমের সময়, আপনি হয়তো আপনার সার্জেনের কাছ থেকে নির্দেশনা পেতে পারেন।

  • ধূমপান, মদ্যপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • আপনার রক্তকে পাতলা করে দেয় এমন কোনো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ওয়ারফারিন এবং অন্যান্য ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, ফলস্বরূপ যথেষ্ট রক্তপাত হতে পারে।
  • অ্যানাস্থেসিয়া বা সংক্রমনে অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসককে জানান।
  • সার্জারির আগে মধ্যরাতে কিছু খাবেন না। না হলে অ্যানাস্থেসিয়ার প্রতিকূল প্রভাব পড়তে পারে।
  • আপনার অবস্থা, পদ্ধতি, সম্ভাব্য ফলাফল ও ঝুঁকি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই পুরোপুরি অবহিত থাকতে হবে।
  • সার্জারির দিন আরামদায়ক পোশাক পরুন।
  • আপয়ার সার্জারির আগে সমস্ত ইন্স্যুরেন্স পেপারওয়ার্ক প্রস্তুত করে রাখুন।
  • হাসপাতালে ভর্তির সময় কাউকে সঙ্গে নিয়ে যান।

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির পর সুস্থ হওয়ার টিপস কী?

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির পরে, মসৃণ ও সফল সুশ্রুষা নিশ্চিত করতে যথাযথ সুস্থ হওয়ার টিপস অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য রইল কিছু টিপস:

  • আপনার সার্জনের নির্দেশ মেনে চলুন: আপনার সার্জন আপনার আরোগ্য লাভের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী প্রদান করবেন, যার মধ্যে আপনি কখন স্বাভাবিক কাজকর্ম পুনরায় শুরু করতে পারেন, কোন ওষুধগুলি গ্রহণ করবেন এবং কীভাবে ইনসিশনের অংশের যত্ন নেবেন, এগুলি অন্তর্ভুক্ত। সাবধানে এই নির্দেশগুলি মেনে চলুন।
  • বিশ্রাম: সেরে ওঠার প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্রাম জরুরি। আপনার শরীরকে সুস্থ করতে কঠোর পরিশ্রম করা এড়িয়ে চলুন এবং প্রচুর বিশ্রাম নিন।
  • ব্যথা সামলান: সার্জারির পর ব্যথা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু আপনার চিকিৎসক ব্যথার ওষুধ লিখে দেবেন, যাতে তা সামাল দেওয়া যায়। ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নির্দেশ মতো এই ওষুধগুলো গ্রহণ করুন।
  • ভারী জিনিস ওঠানো এড়িয়ে চলুন: সার্জারির পর বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী কিছু উত্তোলন করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি পেটের পেশীতে চাপ দিতে পারে এবং নিরাময় বিলম্ব করতে পারে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। ফল, সবজি ও লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • ইনসিশনের অংশ পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন: সংক্রমণ প্রতিরোধে ইনসিশনের অংশ পরিষ্কার ও শুকনো রাখা জরুরি। আপনার সার্জেন হয়তো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করার এবং একটা জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ দিয়ে ইনসিশন ঢেকে রাখার পরামর্শ দিতে পারেন।
  • সংক্রমণের লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন: সংক্রমণের লক্ষণ যেমন জ্বর, লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া বা ইনসিশনের অংশ থেকে তরল নিষ্কাশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এসব লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
  • ধীরে ধীরে সক্রিয়তা বাড়ান: একবার আপনার সার্জন সম্মতি দিলে, ধীরে ধীরে আপনার কার্যকলাপের মাত্রা বৃদ্ধি করুন। হাঁটার মতো হালকা ক্রিয়াকলাপ দিয়ে শুরু করুন এবং আপনার স্বাচ্ছন্দ্যমতো ধীরে ধীরে ব্যায়ামের তীব্রতা ও সময় বৃদ্ধি করুন।

সব মিলিয়ে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার সার্জারি থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে তাড়াহুড়ো না করা এবং আপনার দেহের যত্ন নেওয়া জরুরি। সঠিক যত্ন ও মনোযোগ দেওয়া হলে, আপনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে এবং সময়মত আপনার স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে ফিরে আসার আশা করতে পারেন।

কেন প্রিস্টিন কেয়ার?

বাংলাদেশে বিরামহীন সার্জিক্যাল অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে

01.

সারা বাংলাদেশে ৫০ + রোগের জন্য পরামর্শ পান

প্রিস্টিন কেয়ার বাংলাদেশের 3+ প্রধান শহর জুড়ে 50+ রোগ এবং চিকিত্সা যেমন পাইলস, হার্নিয়া, কিডনি স্টোন, ছানি, গাইনেকোমাস্টিয়া, খতনা ইত্যাদির জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

02.

প্রযুক্তির সাথে চিকিৎসা দক্ষতা

আমাদের সার্জন আপনার রোগ নির্ণয় করার জন্য আপনার সাথে অনেক সময় ব্যয় করবেন। সার্জারি হওয়ার আগে চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য আপনাকে সহায়তা করা হয়। আমরা উন্নত লেজার এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা অফার করি আমাদের পদ্ধতিগুলি ইউএসএফডিএ দ্বারা অনুমোদিত।

03.

অভিজ্ঞ সার্জারি সহায়ক

একজন উৎসর্গীকৃত কেয়ার কো-অর্ডিনেটর আপনার সার্জারির যাত্রা জুড়ে আপনার বীমার কাগজপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তির ডিসচার্জ প্রক্রিয়া জুড়ে আপনাকে সহায়তা করে।

04.

সার্জারির পরের যত্ন

We offer follow-up consultations and instructions including dietary tips as well as exercises to every patient to ensure they have a smooth recovery to their daily routines.

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার সার্জারি কি খুব গুরুতর কিছু?

যদিও যেকোনো সার্জারিতে কিছু মাত্রার ঝুঁকি থাকে এবং গুরুতরভাবে নেওয়া উচিত, তবে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার নিরাময়কে সাধারণত একটি ছোটো সার্জারি প্রক্রিয়া হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পদ্ধতিটি সাধারণত বহির্বিভাগের ভিত্তিতে করা হয়, যার অর্থ রোগীরা সাধারণত একই দিনে বাড়ি যেতে পারেন।

সিলেটে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির খরচ কত?

সিলেটে একটি আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া সার্জারির গড় খরচ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি সাশ্রয়ী, যার দাম ৳ 90,000 থেকে ৳ 100,000 পর্যন্ত। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, নাভির হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের সঠিক খরচ একাধিক কারণের উপর নির্ভর করবে যেমন অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি, লক্ষণগুলির তীব্রতা, আপনার অস্ত্রোপচার করা শহর এবং পছন্দের হাসপাতাল।

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির পর সুস্থ হতে কত সময় লাগে?

সাধারণভাবে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির পর সুস্থ হতে প্রায় 2 সপ্তাহ সময় লাগে।

সার্জারি ছাড়া কি আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া ঠিক করা যাবে?

না, হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারি (হার্নিওর‍্যাফি) হার্নিয়ার চিকিৎসা করার একমাত্র উপায়। সার্জারি ছাড়া আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া ঠিক করা সম্ভব নয়।

হার্নিয়া মেশ ঠিক হতে কত সময় লাগে?

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হার্নিয়া মেশ সার্জারির পর ওই দিনই রোগীরা বাড়ি যেতে পারেন। আপনার সেরে ওঠার মাত্রার উপর নির্ভর করে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগতে পারে। ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বয়স্ক রোগীদের জন্য সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হতে পারে। সার্জারির ঠিক পরে, রোগীদের কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কাজগুলি করা উচিত, তবে তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হালকা ক্রিয়াকলাপগুলি পুনরায় শুরু করতে পারেন।

প্রিস্টিন কেয়ার কি আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির জন্য ইন্স্যুরেন্স গ্রহণ করে?

হ্যাঁ, সিলেটে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার চিকিৎসা সরবরাহ করতে প্রিস্টিন কেয়ার প্রায় সব ইন্স্যুরেন্সই গ্রহণ করে।

যদি আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয়, তাহলে কী হবে?

যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়ার ফলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ইনকারসিরেশন: যদি হার্নিয়া অ্যাবডোমিনাল ওয়ালের বাইরে আটকে যায়, তবে এটি আক্রান্ত টিস্যুতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে, যার ফলে টিস্যুর ক্ষতি বা এমনকি মৃত্যু ঘটাতে পারে।
  • স্ট্র্যাঙ্গুলেশন: যদি হার্নিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে থাকে, তবে এটি স্ট্র্যাঙ্গুলেশনের কারণ হতে পারে, যা হার্নিয়েটেড টিস্যুতে রক্ত সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে থাকে। এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি এবং টিস্যু মৃত্যু ও অন্যান্য গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সার্জিক্যাল হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
  • অন্ত্রে বাধা: অন্ত্রের একটি অংশ যদি হার্নিয়াতে আটকে থাকে, তাহলে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। এতে তীব্র ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এর জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন, যাতে মলদ্বারের ক্ষতি ও অন্যান্য গুরুতর জটিলতা রোধ করা যায়।
  • ব্যথা ও অস্বস্তি: চিকিৎসা না করা হলে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া ক্রমাগত ব্যথা ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে, বিশেষত দাঁড়িয়ে থাকা বা ভারী জিনিস তোলার সময়।

সামগ্রিকভাবে, আপনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনার আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া আছে, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হার্নিয়া নিরাময় ও গুরুতর জটিলতা রোধে সার্জারির প্রয়োজন হয়।

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়াকে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

দুর্ভাগ্যবশত, আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া প্রতিরোধ করার কোনো নিশ্চিত উপায় নেই। তবে ঝুঁকি কমাতে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে:

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার কারণে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে বিপদ কমতে পারে।
  • বসার ভালো ভঙ্গির অভ্যাস করুন: দুর্বল ভঙ্গি আপনার পেটের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, ফলে হার্নিয়া হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। নিজের বসার ভঙ্গির প্রতি খেয়াল রাখুন এবং সোজা হয়ে বসা ও দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।
  • ভারী জিনিস ওঠানো থেকে বিরত থাকুন: ভারী জিনিস ওঠানোর ফলে আপনার পেটের পেশীতে চাপ পড়তে পারে, যার কারণে হার্নিয়া বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যদি আপনাকে অবশ্যই ভারী কিছু তুলতে হয়, তবে আপনার পিঠের পরিবর্তে আপনার পায়ে ভর দিয়ে উত্তোলন করার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন।
  • ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান আপনার অ্যাবডোমিনাল ওয়ালের পেশীগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে, যা আপনাকে হার্নিয়া হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন করায়। আপনি যদি ধূমপান করেন, তা হলে তা আপনার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করুন: বাওয়েল মুভমেন্টের সময় প্রবল চাপ দিলে পেটের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং হার্নিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা আপনার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

যদিও এই পদক্ষেপগুলি গ্যারান্টি দিতে পারে না যে আপনার আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া হবে না, তবে এগুলি আপনার ঝুঁকি হ্রাস এবং ভালো সামগ্রিক স্বাস্থ্য প্রচারে সাহায্য করতে পারে।

আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির আগে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জনকে কী জিজ্ঞেস করতে হবে?

যদি আপনি ল্যাপারোস্কোপিক আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া রিপেয়ার সার্জারির জন্য নির্ধারিত হন, তবে আপনার সার্জেনের তরফে আপনাকে প্রশ্ন করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি পদ্ধতিটি বুঝতে পেরেছেন কিনা এবং কী আশা করতে পারেন। এখানে এমন কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যেগুলো আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে চাইতে পারেন:

  • এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কী-কী জড়িত থাকবে?
  • এই প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও জটিলতাগুলো কী-কী?
  • সুস্থ হওয়ার পদ্ধতি কেমন হবে?
  • কোন ধরনের অ্যানাস্থেসিয়া ব্যবহার করা হবে?
  • এই পদ্ধতি নিয়ে আপনার কতটা অভিজ্ঞতা আছে?
  • সার্জারির পর কি আমার লাইফস্টাইলে কোনো পরিবর্তন আনতে হবে?

এই প্রশ্নগুলি এবং আপনার অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে সেগুলি জিজ্ঞাসা করার মাধ্যমে, আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার পদ্ধতি ও কী আশা করা উচিত তা সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট বোধগম্যতা রয়েছে। এইভাবে আপনি আরও আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেন এবং আপনার অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন।

Read More