কলকাতা গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারি - উন্নত ও নিরাপদ চিকিৎসা

কলকাতা এবং ভারত জুড়ে সমস্ত city,গাইনোকোমাস্টিয়া চিকিৎসার জন্য পুরুষের স্তন কমানোর সার্জারিকেই প্রাধান্য দেয় । এই কৌশলটিতে পুরুষদের স্তনের টিস্যু কার্যকর ভাবে অপসারণের জন্য লাইপোসাকশন এবং গ্রন্থি ছেদনের মিলিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।

প্রিস্টিন কেয়ারে, কলকাতা-তে গাইনোকোমাস্টিয়া সার্জারির সাফল্যের হার মোটামুটি 95% এর বেশি কারণ আমাদের ডাক্তাররা নিরাপদ পদ্ধতি এবং USFDA-অনুমোদিত ডাক্তারি সরঞ্জাম ব্যবহার করেন।

হ্যাঁ, কলকাতা-এ গাইনোকোমাস্টিয়া সার্জারি স্বাস্থ্য বীমার আওতায় পড়ে তবে এর কিছু ব্যতিক্রম হতে পারে। যদি কোন রোগীর প্রসাধনিক কারণে অস্ত্রোপচার করা হয়, তাহলে বীমা কোম্পানি সেই দাবিটি অনুমোদন করবে না। সময়মত অনুমোদন পাবার জন্য আপনাকে সঠিক প্রমাণ জমা করতে হবে যে বর্ধিত স্তন পুরুষটির শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করছে (ডাক্তার দ্বারা প্রদত্ত)।

আপনি পুরুষদে বর্ধিত স্তনের বা অন্য যে কোন শারীরিক অবস্থার জন্য চিকিতসার খোঁজ করছেন, তাহলে Pristyn কেয়ার নিম্নলিখিত পরিষেবাগুলি প্রদান করে থাকে,

• ক্লিনিক এর দক্ষ সহয়ায়কারিদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সহায়তা
• অস্ত্রোপচারের দিনে বিনামূল্যে -বাড়ি থেকে নেওয়া আর দিয়ে আসার পরিষেবা
• চিকিৎসা কেন্দ্রে বিশ্রামের জন্য একটি সিঙ্গেল ডিলাক্স কামরা
• নো-কস্ট ইএমআই পরিষেবা এবং নমনীয় অর্থপ্রদানের বিকল্প

বর্তমানে, গাইনোকোমাস্টিয়ার জন্য USFDA দ্বারা স্বীকৃত কোনো ওষুধ নেই। Tamoxifen যা ইস্ট্রোজেন বিরোধী গাইনোকোমাস্টিয়া চিকিৎসার জন্য মোটামুটি কার্যকর বলে ধরা হয়। যাইহোক, এমন কোন প্রমাণ নেই যে ওষুধটি এই অবস্থার পুরোপুরি চিকিৎসা করবে বা তার বিপরীত করবে।

Gynecomastia যেকোন বয়সের পুরুষদের মধ্যে হতে পারে আপ সাধারণত, বয়ঃসন্ধি কাল থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ 13 থেকে 19 বছর এর মধ্যে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পুরুষদের এই অবস্থা দেখা দেয়। আবার হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই অবস্থা হতে পারে।

গাইনোকোমাস্টিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল পুরুষ স্তন কমানোর সার্জারি। কারন একবার পুরুষদের মধ্যে যদি স্তনের টিস্যুগুলি বিকশিত হতে শুরু করে তাহলে অবস্থাটি বিপরীত করা সম্ভব নয় , অতএব, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বর্ধিত গ্রন্থিযুক্ত টিস্যুগুলি অপসারণ করা একমাত্র সমাধান ।

না, গাইনোকোমাস্টিয়া ব্যায়ামের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব নয় । যদি একজন ব্যক্তির pseudogynecomastia (চর্বি জমা) থাকে তাহলে মানুষের স্তনের আকার বা চেহারা ব্যায়াম কমাতে কার্যকর হতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে, হরমোনের পরিবর্তনে গাইনোকোমাস্টিয়া ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে স্থিত হয়। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে, হরমোন স্থিতিশীল হওয়ার পর এই অবস্থাটি নিজে থেকেই চলে যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে, এই অবস্থার কন পরিবরতন হয় না যার কারণে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

হ্যাঁ, গাইনোকোমাস্টিয়া সার্জারিটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই সার্জারি উন্নত গ্রন্থি ছেদন কৌশল এবং লাইপোসাকশন এর ব্যবহার করে সঞ্চালিত করা হয়ে থাকে সাধারণত ন্যূনতম বিনাশ করে সুতরাং, জটিলতার ঝুঁকিও কম।

সাধারণত, অনেক পুরুষ বুকের চর্বির এবং গাইনোকোমাস্টিয়া এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা । প্রধান পার্থক্য হল শারীরিক রচনা। যদি স্তনের টিস্যুগুলি বুকের চর্বির থেকে অনেক বেশি শক্ত এবং আপনি স্পর্শ করে সেই শক্ত টিস্যু সনাক্ত করতে সক্ষম হন তবে এটি আপনার উদ্বেগের বিষয় হতে পারে ,তখন আপনি একজন ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করতে পারেন।

না, পুরুষ স্তন কমানোর সার্জারি বা গাইনোকোমাস্টিয়া সার্জারি কখনই বেদনাদায়ক নয়। পদ্ধতিতে অ্যানেস্থেশিয়া করে শরীরকে অসাড় করে দেয় তাই রোগী কোন ধরণের অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করবেন না।

গাইনোকোমাস্টিয়া অস্ত্রোপচারের পর প্রথম 4 সপ্তাহের জন্য আপনাকে কম্প্রেশন ভেস্ট পরে থাকতে হবে। স্তনের ফুলে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং বুকের ভার কে সহায়তা প্রদানের জন্য সার্জন দ্এই ভেস্টএর সুপারিশ করেন । ভেস্টটি বুকের পেশীগুলিকে যথাস্থানে রাখে এবং পুনরুদ্ধারের সময়কালে আরাম দেয় ।

পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার -এর সম্ভবনা খুব কম হলেও তা নগণ্য নয়। সুতরাং, এই অবস্থার জন্য চিকিতসকের পরামর্শ সর্বদা নেওয়া উচিত ।

বুকের চর্বির আর গ্রন্থিযুক্ত টিস্যুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। তা হল,

• গ্ল্যান্ডুলার টিস্যুগুলি রাবারি আর শক্ত আর বুকের চর্বি সংজ্ঞায়িত আকৃতি ছাড়াই বাইরের দিকে ঝুলে থাকে।
• গাইনোকোমাস্টিয়ার ক্ষেত্রে স্তনের নিচে স্পর্শ করলে শক্ত পিণ্ড অনুভব হতে পারে।

গাইনোকোমাস্টিয়া অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর পুনরুদ্ধারের সময় 2 থেকে 4 সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে তবে তা নির্ভর করে রোগীর অবস্থা এবং পদ্ধতির উপর। সেরে ওঠার সময়কাল প্রতিটি রোগীর জন্য পরিবর্তিত হতে পারে । অতএব, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি পুনরুদ্ধারের সময় সম্পর্কে সার্জনকে জিজ্ঞাসা করুন।

সাধারণ কয়েকটি উপায় যা গাইনোকোমাস্টিয়া প্রতিরোধে করতে পারে প্রথমে-

• অতিরিক্ত অ্যালকোহল-এর পান এড়িয়ে চলুন।
• বেশি মাত্রার ইস্ট্রোজেন রয়েছে এমন ওষুধ কখনই ব্যবহার করবেন না।
• গাঁজা বা অ্যামফিটামিন এর মতো পদার্থ ব্যবহার না করাই ভাল ।

না, অস্ত্রোপচার ছাড়া গাইনোকোমাস্টিয়ার সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। কারন, গ্ল্যান্ডুলার টিস্যুগুলি একবার ছড়াতে শুরু করলে, অবস্থাটিকে বিপরীত করা যায় না। যেকোনো ব্যক্তি গাইনোকোমাস্টিয়ার প্রারম্ভিক কারণটি সমাধান করতে পারে এবং তারপর এর অগ্রগতি বন্ধ করতে পারে।